Tuesday, June 23, 2020

ধরিত্রী

ভালই লেখা যাচ্ছে কি বলেন?
বেশ স্রোতস্বিনী নদী হয়ে উঠেছে
এই শব্দগুলো, আমাদের দুর্বিপাকে। 
খেদ থেকে যায় কেবল ভাবনা নিয়ে; 
অবশ্য তাকে অধিগ্রহণ করব এই দুঃসাহস রাখি না মনে। 
সে শক্তির আধার নই এই সময়ে, 
যেমন শক্তি ছিল, বা বিনয়, বা বিষ্ণু। 

লিখে ফেলার অদম্য শক্তি ছিল গণেশের,
আধুনিক সমাজে যার স্থান দুর্বিষহভাবে গোবরের পরে। 
হয়তো হিংসা থেকেই! 
ইচ্ছা এবং শক্তি, দুই চিরন্তন শত্রু। 
ওরে বাবা, দূরে থাক, ভুলেও কাছে আসিস না এই বিহনবেলায়। 
শেষে কি মৃত্যুযন্ত্রণা ডেকে আনবে কর্মক্ষমতার আকর্ষণ!

এমনই এক বিভীষিকা গ্রাস করে আমার সাধের মাতৃভূমি। 
না পারি দূরে ঠেলতে, আবার না পারি বুকে ফেলতে। 
এই ভাবেই পার হল বোধকরি কয়েকশো বছর। 
সেই জগদ্দল পাথর উপড়ে ফেলার জন্য আসবে নতুন আম্পান। 
সেইদিন ক্লান্তিহীন, সেই দিন আসবে নিয়ে নব অভ্যুত্থান। 

Thursday, June 4, 2020

মহামারী

সব কিছু ভেঙ্গে গেছে, যন্ত্রণা, সেও খান খান,  
এখন দিনের চিত্র যুদ্ধক্ষেত্র কিম্বা মরূদ্যান। 
নতুন ভাবনার জন্য পটভূমি হয়তো বা প্রস্তুত, 
একেবারে অভিনব, বিদেশি প্রভাব বহির্ভূত।

সমষ্টির দিকে যাত্রা, স্বাভাবিক নাকি অপ্রাকৃত
দেখব আবার আজ, প্রায়োগিক অভিজ্ঞতা অর্জিত!
তবু কি প্রমাণ হবে তোমাদের পারদর্শী চোখে, 
যাদের নিয়মনীতি এখনো দুঃসাধ্য এ ভূলোকে? 

সেই কি পিছিয়ে যাব, যাত্রার প্রথমার্ধকালে? 
সেই কি অনুযোগ করা অস্ফুটে সকলের আড়ালে? 
স্ব-অঙ্কিত ভাগ্যরেখা সেই কি করবে প্রবঞ্চনা? 
সেই কি অনতিলম্বে বুঝব এ আমার মঞ্চ না? 

এখন সংঘর্ষ যত একান্তই ব্যক্তিগত স্তরে
যার জন্য মানুষেরা শেষ প্রাণবিন্দু দিয়ে লড়ে।   
এতখানি আন্তরিক ভাবনা সে কি স্বাতন্ত্র্যের ডাক? 
সময় বলবে সব, অধুনা যে বিস্ময়ে নির্বাক।