Monday, November 25, 2013

চিত্তচাঞ্চল্য

কোন একদিন মনের মধ্যে শান্তি বিরাজ করত 
সেই দিনটায়  ফিরে যেতে চাই একথা বলতে চাইনা 
সেদিনের কিছু বিশেষ প্রকৃতি আজও তো থাকলে চলত  
যারে নাহি চাই সহজে হারাই যারে চাই তা হারাইনা ।

চিত্ত আজিকে ক্ষনিকে উদাস ক্ষনিকে আবার উদ্দাম 
হরষে বিষাদে ঘুরে ঘুরে ফিরি সাথে লয়ে আকুলতা 
ধ্যানেতে মগ্ন ঋষি হয়ে নাহি আর সেই কালে রইলাম 
পান্থ আজিকে প্রশ্ন ছুঁড়েছি কেন এ চঞ্চলতা । 

Saturday, November 23, 2013

জীবনগতি

দৈনন্দিন ছন্দ ছেড়ে 
বাতাস কোথায় স্তব্ধ 
কথার পিঠে খেই হারিয়ে 
নিঝুম হলো শব্দ ।

প্রাত্যহিকি জীবনগতি 
আটকে ছিল খাপে 
থামল তারও প্রবাহতান 
অস্থিরতার চাপে ।

তাপোত্তাপের ধার ধারিনা 
দিব্যি আছি আমি 
জীবনতরী বাইতে গিয়ে 
মাঝনদীতে থামি ।

জিরিয়ে নিয়ে চোখ ধাঁধিয়ে 
চতুর্দিকে ফিরি 
এখনো সেই অনেক দুরে 
জীবনপুরের ভীড়'ই ।

সূর্যের ক্ষেদ

সন্ধ্যাবেলায় রঙের খেলায়
যখন মেশে অন্ধকার
চাঁদের বুড়ি সূর্যিমামায় 
থোড়াই দেবে বিশেষ ছাড় ।

নিবিড়্ অমা সঙ্গী করে 
দস্যি বুড়ি মত্ত আজ 
তড়িৎ বেগে নৃত্যকলা  
অঙ্গেতে উন্মত্ত সাজ 

বজ্রমানিক নিরুদ্দিষ্ট 
স্বস্তি পেলে সমান্যই
রণক্ষেত্রে ছুঁড়বে গোলা  
"আমরা তো আর কামান নই 

অহং বোধে অন্ধ ছিলাম 
দিইনি মাটি সুচাগ্র 
এখন বুঝি আপন ত্রুটি
শুষ্ক আঁখি নীরার্দ্র "।

Thursday, November 21, 2013

চিঠি

না জানি কখন চিঠি পাব তোর 
শুনব মনের কথা 
হাসি কান্নার, হীরা পান্নার 
না বলা মনের ব্যথা।

স্মৃতির রঙেতে রাঙাইয়া দিবি 
খেলবি পুরনো খেলা 
ছেলেবেলাকার সে তুলির টানে 
আমিও ভাসাবো ভেলা।
একটা কবিতা থাকে যেন তোর ,
সেই কলমেই লেখা-- 
পড়ে মনে হবে ঠিক যেন সেই 
সোনালী দিনের রেখা। 

জীবন

আমার চিঠির অপেক্ষাতে থাকিসনাকো বসে 
আমি তো এক সামান্যজন, বিস্মৃতিরই দোষে  
ভুলব আমার প্রতিজ্ঞাকে দুষ্মন্তের মত 
শকুন্তলা হইবি কোনো দুর্বাশারই রোষে ।

ইজেলে কোন তুলির টানটা হয়েই যাবে ফিকে 
স্মৃতির ধুসর রঙ বানাবে ধুসর পৃথিবীকে 
জীবনে তো কতই কিছু নবীন তরী বেয়ে
প্রবীন হয়ে মিলিয়ে গেছে কালের অপরদিকে ।
ইচ্ছা করি স্বর্ণনদে ভাসতে রবে ভেলা 
সদাই রঙিন থাকবে মোদের পুরনো এই খেলা 
এসব ভীতির প্রসঙ্গটা থেকেই যাবে ফাঁকি 
চিরন্তনী আলোর কাছে হারবে সন্ধ্যাবেলা । 

সাম্য

দলিত জনের প্রানের কান্না
বুঝবার তরে ভাবি 
নিপীড়িত জন ভুলে কি কখনো 
প্রকাশিবে তার দাবি ।

একই রক্ত বইছে সবার 
ধমনী গহন গভীরে 
দমিয়ে তাদের উন্নতি করে 
পাষাণ হৃদয় লোভি রে ।

মনুষ্যত্ব হারায়ে মানুষ 
কিসের পিছনে ধায় 
পরিচয় যদি নাই থাকে তাতে
কি বা কার এসে যায় ।  

Wednesday, November 20, 2013

চাহিদা

কখনো তো মুখ ফুটে কিছু চাইনি 
কাঙ্খিত কোন কিছু তাই পাইনি 
ইচ্ছেগুলোকে শুধু ইশারায় বেঁধে 
বলেছি কখনো কভু দেখিনাই সেধে ।

মনে পরে সেই কোন শৈশবকালে 
রেলগাড়ি চলছিল ঝিকি মিকি তালে 
তারই মাঝে উঠেছিল ফেরিওয়ালা এক 
ন্যাপথালিনের বল ভরা ভরা প্যাক ।

হাত পেতে চাইলাম বাতাসার আশে
সেই মোর চলা শুরু নিরাশ আকাশে 
ছোট ছোট ঘটনার রেখা ফেলে মনে 
অতিক্রম কিম্বা জয় করব কেমনে ।

হারাব হয়ত কত অমূল্য রতন 
মানিক্য সমান সপ্ত নৃপতির ধন 
হয়ত বা অহংকার হয়তো বা ভয় 
তবু ভাবি না চেয়েও পাওয়া ঠিক যায় ।

Tuesday, November 19, 2013

গতিপ্রকৃতি

জীবনের গতিপ্রকৃতির সাথে 
একাত্ম হতে ব্যর্থ 
ratrace-টার সমাপ্তি টানি 
ভুলেছি নিজের স্বার্থ ।

বুঝতে পারিনা আমেজটাই তো 
উপভোগ করে যেতে চাই 
হয়ত অলস প্রকৃতির কাছে 
নুইয়েছি মোর মাথাটাই ।

রক্তকরবী শেষের কবিতা 
তাসের দেশ বা অন্য 
গানের কলির আহবানে আমি 
চিরকাল রব ধন্য ।

তবুও কেন যে মনে ভয় জাগে 
এটাকি নেহাত অজুহাত 
আসলে হয়ত আপনার কাছে 
করেই চলেছি অপরাধ ।

Monday, November 18, 2013

আমার ধর্ম

মনের ভাবকে ব্যক্ত করা
নয়কো সহজ কর্ম
সদাই তাহার চেষ্টা করি
সেটাই আমার ধর্ম

"ধর্ম যখন চিনতে পারলে
নেইকো তোমার ভয়
এগিয়ে যখন যাচ্ছ তুমি 
হবেই তোমার জয় "

জয় পরাজয় লেগেই থাকে
প্রচেষ্টা টাই  সত্যম
শতেক বারের পরেও যেন
হারিয়ে না যায় উদ্যম ।

Saturday, November 16, 2013

দিনকাল

হঠাৎ করে ইচ্ছে হলো অনেক গল্প করি কথার পিঠে শব্দ জুড়ে স্মৃতির মাঠে চরি ভাবনা গুলো একের পর এক লাইন দিয়ে খাঁড়া অপার স্রোতে ভাসতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠে মরি ।
বুঝতে পারি নুইয়ে গেছি বার্ধক্যের ভারে তারুণ্যেরই স্বাদের সাধে ছুটছি বারে বারে ঠিকানা তার সবার জানা কিন্তু না পাই দিশা রাস্তাটা যে হারিয়ে গেছে যৌবনেরই পারে ।

Friday, November 8, 2013

হারিয়ে যাওয়া পদ্য

হারিয়ে যাওয়া পদ্য খানা 
দুঃখ জাগায় মনে 
মনের ভিতর খুঁজছি তাকে 
একলা ঘরের কোনে ।
এমন করে কতই কিছু 
হারিয়ে ফেলে ভাবি 
এবার কিসের আসলো পালা
এবার কে হারাবি  ।
কক্ষনো না হারাই  তবে 
এইটা করি আশা 
তোমায় নিয়ে চলতে রবে 
জীবন তরী ভাসা ।

Saturday, November 2, 2013

প্রাপ্তি

আহ্লাদ করে নিজেই বুঝিনা কতটা জায়গা দিলাম 
সিদ্ধান্তের ভরসা করেকি অলিক সুখেতে ছিলাম 
বিবেচনা বোধ তৈরী হলো কি ভেবেই না পাই দিশা 
আলোকের খোঁজে শশব্যস্ত অবিরাম ঘোর নিশা 

আনন্দঘন জীবনের খোঁজে ঘুরে ফিরি নিশিদিবা 
দুঃখ মদির জীবনের খোঁজ পেয়েছিলাম যদিবা 
চাইনি, তবুও হঠাৎ প্রাপ্তি আজকের বড় দায় 
বুঝলাম আজ না চাহিলে তারে হয়ত বা পাওয়া যায় 

দীপাবলী

ঝরা পাতার সঙ্গে কথা বলার সময় হাজির 
কোন সুদূরে দেশান্তরে যজ্ঞ আতশবাজির 
আগমনীর সুরের পরে শ্যামা মায়ের স্তুতি 
এই দেশেতে কোথায় পাব সেসব অনুভূতি 

সোঁদা মাটির গন্ধ তবু ঝলক জাগে মনে 
আপন মনে বেড়ায় ফিরে রক্তজবার বনে 
বিষাদে নই ভারাক্রান্ত নেই তো কোনো জ্বালা 
সত্যি ভাবি এখন বোধয় ফুল ছড়ানোর পালা