Saturday, December 6, 2014

বহমান

একান্তে সে খুঁজে চলা মিথ্যা একাগ্রতা 
বেড়ে চলে তারই মাঝে আপেক্ষিক আর্দ্রতা
মাঝে তবু খুনসুটি অনিত্যের সাথে 
পরিশেষে ফিরে আসে ক্রূর বাস্তবতা।  

ঝটিতে সে খুঁজে চলা আশ্রয়ের ছায়া 
প্রতি প্রত্যাখানে আরো হলেম বেহায়া 
প্রায়শই ঘোর কাটে, অসীম আক্ষেপে   
ফের তবু গ্রাস করে ছলময়ী মায়া।  

নিঃস্ব হয়ে গেছি  এই পথের ধূলায় 
তবু চলি যতদিন সাধ্যেতে কুলায় 
তবু নয় বিশ্রাম, নয় ধীরগতি  
পথের ক্লান্তি জানি যন্ত্রণা ভুলায়।  

Tuesday, December 2, 2014

আত্মবিলাপ



লন্ডনটা গড়ব ভেবেছিনু
কেমনে জানি হয়ে সে গেল করাচ্চি
ছড়ার খাতে হাত লাগিয়ে দিনু 
সেইখানেতেও একই রকম ছড়াচ্ছি । 

রঙতুলিতে টানটা ছিল বেড়ে 
চালাচ্ছিলাম লাগামছাড়া  দরদাম
সইল না তা আসল ইডি তেড়ে  
ডেলোর কেলোয় জানলে কি আর পরতাম । 

তার মাঝে সে কলরবের রোল 
এক নিমেষে রাস্তা দেখি ছয়লাপ 
দিনের দিনে বাড়ছে যে তার বোল 
জানিস না কো নজর দিলে হয় পাপ !! 

Saturday, November 22, 2014

ছাই

মোর প্রস্তাবনা 
দৃপ্ত কণ্ঠে জ্ঞানলোকে ক্ষণিকের তরে আনাগোনা 
কিবা তার দিশা
তৃষিত যে, বয়ে চলি অন্তরের অনন্ত জিজ্ঞাসা ।


উত্তর পিপাসা 
চাতকের মত তাই খুঁজে ফিরি,  সঙ্গী হতাশা 
পর্যটন বৃথা 
সত্যাসত্য বিচারের প্রচেষ্টা নিস্ফল জানি তা।  

কি ছাই প্রত্যাশা 
মরীচিকা সম শুধু ক্ষনিকের মোহটুকু, শুধুই দুরাশা 
মিছাই ভনিতা 
প্রকাশ করেছি ভুলে, দৃপ্ততার অর্থ আজ কেবল ধৃষ্টতা।  


Wednesday, November 5, 2014

ল্যাদের মহিমা

আলস্যকে সঙ্গে করে কাটলো কত শতাব্দী 
কি হারালাম কি বা পেলাম এইবারে তার জবাব দি।  
তোমরা ভাবো ল্যাদের তরে মোদের জীবন লক্ষ্যহীন 
ল্যাদের মাঝেই তরতরিয়ে কাটছে মোদের রাত্রিদিন।  

তোমরা ভাবো গল্পগাছা কেবল নষ্ট সময়টার, 
জ্ঞানের আদান প্রদান করার আকর্ষণ যে দুর্নিবার।  
শিখছ কেবল ঠেকার পরে, ভাবছো তুমি এলেমদার 
গল্প শুনে শিখেই মোরা করছি কত চমৎকার। 

গতরখানা খাটছে তবু হারিয়ে কেন ফেলছ খেই , 
আমরা গায়ে লাগাই হাওয়া তবুও মোরা পিছিয়ে নেই।   
কাটাও দুদিন সঙ্গে মোদের সঙ্গে কর আহার তো ,
খুলবে সেদিন চোখের ঠুলি বুঝবে ল্যাদের মাহাত্ম্য।  

Friday, October 24, 2014

সৃষ্টির কথা

স্বপ্ন গ্রন্থনা করে কি পেয়েছি আর?
নীরবে হয়তো তাতে হতেম সওয়ার,
সার্ব্বজনীন করে তুলেছি কি ভুলে
উপেক্ষার পথে তাই ফের যাব চলে ।
 
একান্ত আপন ছিল জন্মের সময়
দৃঢ় ছিল পদক্ষেপ ছিল নির্ভয় ;
তবু প্রত্যয়ের পরে ক্ষণিকে দুরাশা,
তবু কেন অস্তরাগ নিমেষে সহসা ।
 
এই ছিল ভূমিষ্ঠের  ক্রন্দনের রেশ 
এই ছিল দেহ জুড়ে সৃষ্টির আবেশ
ক্ষণে দেখি ইমারত কোথা ধূলিসাৎ
নতুন সৃষ্টির তবু পেয়েছি বরাত । 

Wednesday, October 15, 2014

বন্ধন


জীবন অনিত্য তবু মায়ার বন্ধনেতে দুঃখ হয়, 
নিস্ফল প্রচেষ্টা তবু সম্পর্কের ঊর্ধে ওঠবার, 
নীরবে ক'জনে শুধু পৃথিবীর গ্লানিটুকু সয়, 
মায়াময় স্বপ্নে করে অতিক্রম  ভব পারাবার।  

নিজের পরিচয়ে থাকে এ জন্মের রেশটাই বেশী তবু তাকে সৃষ্টি করতে কেন এত বৃথা আস্ফালন? ইন্ধন জুগিয়ে চলে মধুলোভী বহু স্বার্থান্বেষী ভেসে যায় সেই হায় কষ্টসিদ্ধ যুক্তির মন্থন ।।

শিক্ষালাভে খামতি ছিল? পূর্বজন্ম ছিল ভুলে ভরা?
শুধু ছিল পাখিপড়া বুলিগুলি সশব্দে আওড়ানো?
মায়ার বাঁধনে ছিল যুক্তির দেওয়ালটা গড়া,
ভ্রম ছিল জীবনের ইট কাঠ পাথরে সাজানো ।

Saturday, October 11, 2014

শান্তির পথ

শান্তি চেয়েছ তাই কি মিলছে পুরষ্কারের অর্থ, 
শান্তি কিনতে এখনো কিন্তু হয়নি সে সমর্থ।  
কিসের কণ্ঠ স্তব্ধ করতে এত অর্থের সমাহার,  
কার বিরুদ্ধে নেমেছিলে পথে রুধেছিলে কোন অবিচার? 

তাই কি করতে প্রতিহত সবই, তাই কি ভাঙতে ঐক্য, 
তাই কি বোঝাতে নেমেছে সকলে শান্ত আমরা নই কো ?  
প্রলোভন কত দিয়েছ সবাই ত্রুটি বিচ্যুতি আনতে 
পরীক্ষা আজ ফের দিতে হবে, শান্তির পথ জানতে। 

এতদিন ধরে চলেছি যে পথে সেই পথ ধরে চলব, 
সত্যের পথে চলেছি যখন প্রলোভনে কেন গলব,  
যতই কঠিন হতে থাক পথ হচ্ছি যতই ক্লান্ত, 
প্রতিজ্ঞা তত হতে থাকে দৃঢ় এ পথে দেব না ক্ষান্ত।  

Wednesday, October 1, 2014

সবজান্তার আস্ফালন

আয়েশ করে আয়েশ করা চাট্টিখানি কথা? 
কিলবিলিয়ে বিচ্ছিরি সব চিন্তা গলায় মাথা 
সরকারি সব আমলা গুলো এক্কেবারে যা-তা

অর্থনীতির প্যাঁচপয়্জর বুঝছি কেবল আমি, 
মন্ত্রীমশাই কানটি বাড়াও, আমার কথা দামী ;   
ফেসবুকেতে এসব নিয়েই বিতর্কেতে নামি।

বিদেশনীতির গোড়ার কথা? তাতেও আমি দড় 
তোমার চেয়েও খানিক হলেও বেশিই সড়গড়  
সুযোগ আছে সেক্রেটারি, আমার পায়ে পর 

সংগঠনটা সাজাতে চাও? একপায়েতে খাড়া 
মতামতের জন্য আজও নিই না কোন ভাড়া 
তৈরী আছি, ডাকবে কখন? নেইকো আমার তাড়া 

দুনিয়া আমার হাতের মুঠোয়, বন্দী আমার ঘরে 
চারদেওয়ালের মাঝেই নিলাম আপন হাতে গড়ে 
দেশটা এখন কেবলমাত্র আমার কথায় ঘোরে   

Wednesday, September 24, 2014

বাঁধাগতে

আমাদের দিন কাটছে আসলে গতানুগতিক ঢঙে;
তাকেই ভাবছি, ভ্রান্ত আমরা, বেহিসেবি কিছু খেলা,
আসলে কিন্তু ছবি আঁকা সেই নীল সাদা কালো রঙে। 

ক্যানভাসে সেই আচরের দাগ সেই সোজা টানে তুলি, 
পেয়ালাতে সেই দুধ চিনি সহ দার্জিলিঙ্গের পাতা, 
আলের ধারেতে এখনোও তো সেই গাঁয়ের কৃষ্ণকলি। 

এখনও দৌড়ে চড়ে বসা নেই ট্রামের সেকেন্ড ক্লাসে,
এখনও লোডশেডিংয়ের সময় জোনাকির কথা ভাবা ,
এখনও শিশির জমছে ভোরেতে যুবভারতীর ঘাসে। 

এখনো পুজোয় হরিদেবপুর, বেহালা চৌমাথাতে, 
কলেজ স্ট্রীটেতে বইয়ের গন্ধ এখনো লাগায় ঘোর,
পুরনো প্রেমিকা ঝালমুড়ি নিয়ে আজও ময়দানে হাঁটে। 
 
এখনও মিছিলে স্লোগানেতে সেই ক্ষমতার উত্স খোঁজা,
স্রোতের সাগরে ভাসিয়ে দিচ্ছি প্রতি ক্ষণে প্রতি পদে ,
এই জীবনের প্রকৃত অর্থ নাই বা রইলো  বোঝা।  

Wednesday, September 17, 2014

শাসকদলের প্রতি

জানি একদিন রচেছ জয়ের গাথা,
তাই বলে তুমি নও আমার বিধাতা, 
মনে পরে কি সে নন্দীগ্রামের দিন?
বুঝেছি তোমার স্মৃতিতে সেসব ক্ষীণ। 

সাথে আছে জানি কিছু ভিসি, পাচাটা
বুকেতে যাদের দলদাস নাম সাঁটা ,
এই নিয়ে রানী বসে থাক নিজ ঘরে। 
তোমার আদেশে মোদের রক্ত ঝরে। 

জুটেছে শঙ্কু, জুটেছে কৃষ্ণকলি,
জুটেছে বারুদ, কার্তুজ গোলাগুলি, 
জুটেছে স্তাবক, ধান্দায় ঘোরা ভাম, 
ভুলে গেলে শুধু তাজা রক্তের দাম। 

শিখেছ শুধু সে চটি পরে গুলি ছোঁড়া, 
তাতেও আমরা কেয়ার করছি থোড়া। 
একই পথে পোষা গুন্ডাকে ঠেলে দাও,  
জানি তরুণের রক্তকে ভয় পাও।

#hokkolorob 

Thursday, September 11, 2014

প্রথম কথা

চিরকাল ছন্দ সহযোগে লেখালেখি করে এসেছি। কিন্তু প্রায়ই ইচ্ছে হয় নিজের কথা একটু অন্য ভাবে বলতে, মানে একদম আগাপাছতলা না ভেবে সোজা গড়গড় করে উগড়ে দিতে। এটা সেই প্রথম প্রচেষ্টা । বলতে হয় আমার প্রথম কথা । শুনেছি আমি ৩ মাস বয়সে প্রথম কথা বলি। আমার মুখনির্গত সেই প্রথম বাণী ছিল একটা খুবই যুগ-অনুপযোগী শব্দ 'কাপ' । অবশ্য শব্দটা ছোট হলেও নেহাত এলেবেলে নয়। অনেক মধ্যবয়স্ক লোককেও দেখেছি কাপ বলতে গিয়ে নাকানি চোবানি খেতে। সত্যি বলতে কি আমার একটা প্রচ্ছন্ন গর্ববোধ আছে এই কাপ বলা নিয়ে, যা হয়তো থেকে থেকেই প্রচ্ছন্নতার গণ্ডি অতিক্রম করে চলে যায় নির্লজ্জতার মধ্যগগনে। সে যাই হউক কনে বউ'এর মত লাজে রাঙা হওয়া আমার পক্ষে কখনই সহজ কম্ম নয়। আর আমি সেই প্রচেষ্টাও করছি না। তাই বলে এমন ভাববেন না সে আমি কেবল সহজ কর্ম করে বেড়াই। আমি সহজ কঠিন কোন কম্মই করি না। অনেক বিদগ্ধজন বলেছেন নিষ্কাম কর্ম করার কথা, ছোটবেলায় শুনেছিলাম তো; তখন ঠিক বুঝতে পারিনি। তাই নিজের মত ভেবে নিয়ে আকাম করে বেড়াই। ওই গুঙ্গা বলে না কেঁদে উঠে গদগদ হয়ে কাপ বলে ওঠা তারই একটা অঙ্গবিশেষ ।

প্রথম কথা বলার জন্য লেখা, কিন্তু কিয়মাশ্চর্যম, শুধু প্রথম কথা তো বলছি না। আরো কত কি, হয়তো বা অবান্তর, কথার ফুলঝুড়ি ছুটিয়ে দিয়েছি। আসলে স্পষ্ট করে তবে বলেই ফেলি, প্রথম কথার মাধ্যমে প্রকাশ করতে চাই নিজের পরিচয়, নিজের ভাবনা, নিজের অস্তিত্ব, নিজের নিজস্বতা।(অবশ্য অনেকের কাছে হয়তো আগেই স্পষ্ট ছিল আমার এই বক্তব্য।) কাজেই শুধুমাত্র কাপে থেমে গেলে পরিচয়পুরাণ অসম্পূর্ণই থেকে যায়, তাহলে একথাও বলা হয়না যে জ্ঞানের পরিধি আর একটু বিস্তৃত হলে আমি হয়তো অন্য কোন শব্দবন্ধ প্রকাশে আরো বেশী সচেষ্ট হতাম। আর শুধু নিজেকেই বা বলা কেন, শুনেছি সেই সময় আমার চা-পিপাসু মা এক পেয়ালা চা হাতে এসেছিলেন আমার সকাশে এবং আমিও উৎসাহের আতিশয্যে আমার আমার বাক্যলহরীকে গোপন রাখতে পারিনি। ছোটরা পারে না, আমিও তো তখন ছোটই ছিলাম। এখন ভেবে আশ্চর্য হয়ে যাই, আমি কে আর সেই আমি নই, সবই আজ নতুন নতুন লাগে। ফিরে আসি নিজের কথায়, ফিরে আসি নিজের ভালবাসার কথায়, নিজের ভাষার কথায়, নিজের মাটির কথায়। মা এবং মানুষ কেও আমি ভালবাসি কিন্তু একই সাথে উচ্চারণ করতে চাই না, কারণ চাই না পাঠকের আমার রাজনৈতিক মতাদর্শ, বা তার অভাব, সম্বন্ধে কোন ভ্রান্ত ধারণা হয়ে যাক। প্রতি বছর এমন এক দিন আসে যেদিন আপাতত নিকত ভবিষ্যতের কিছুদিনের জন্য আমার নাড়ির সাথে আমার সম্পর্ক ছিন্ন হয়। সেদিন যেন আমার মন হাহাকার করে ওঠে এই কথা বলে আমি তোমার কাছেই ফিরে আসব। এই মাটিতে, এই কনক্রিটের দেওয়ালে, এই ইটে, এই বালিতে পাথরে সবেতেই মিশে আছে আমার বাবা- আমায় হাত বাড়িয়ে ডাকছে। আজ সেই দিন। আমি সেখানেই ফিরে আসব, সেই ডাককে উপেক্ষা করব এমন নরাধাম যেন আমি কখনও না হই। ওই গঙ্গার জলে মিশে আছে আমার ঈশ্বর বন্দনার প্রথম পাঠ, আমার ভারতের দিবাকর যে আমার স্পর্শে একদিন পুনরায় জেগে উঠবে। কত কথা ভেবেছিলাম বিমানবন্দর আসার পথে, এখন যেন সব কিছু হারিয়ে গেছে, রয়ে গেছে শুধু হতাসা শুধু অন্ধকার। কিন্তু তাকে পুনরায় খুঁজে পেতে ফিরে সে আমাকে আসতেই হবে।

Sunday, September 7, 2014

ছন্দভাষণ

ছন্দ দিয়ে বলতে গিয়ে 
আসলে যা বলতে গেলাম 
সেই কথাটাই রইল বাকি। 
অনেক কিছু তবুও হল, 
অনেক জটিল গল্প কথা 
আসলে যা কেবল ফাঁকি ।

ফাঁকি দিয়েই জীবন চলে 
কবিতাই বা সেটার থেকে 
এমন কি আর আলাদা চিজ। 
ফাঁকির সাথে ফাঁকির দোস্তি 
ফাঁকির সাথে ফাঁকির লড়াই 
জীবন খেলে ফাঁকির ট্রাপিজ। 

খেলাচ্ছলে এগিয়ে চলি 
খেলায় করি জীবনধারণ 
ভারটা যাহোক বইতে পারি, 
জীবনপুরের পথিক হয়েই 
টু পাইসের জীবনখানা 
কাটিয়ে দেবে এই আনাড়ি। 

Wednesday, August 13, 2014

নিঃশেষের দিন

আমার লেখায় একসময় এক ফ্লেয়ার ছিল 
এখন আমি নিতান্ত ম্যাদানো।  
ছিলাম সেদিন হীরের টুকরো বাচ্চা ছেলে 
এখন হয়েছি বাপ মা খ্যাদানো।  

আমার ঘিলুর উর্বরতা ক্ষণস্থায়ী, 
অনুপস্থিত বলতে লাগে লজ্জা, 
দু কানকাটা হতেও বড্ড সাহস লাগে-  
ভীরুর রক্তে প্লাবিত এই মজ্জা।  

হয়তো এটা তোমার গল্প ভাববে তুমি, 
আমি কোন আপত্তি করবনা। 
মেনেই নিলাম টুকলি করছি তোমার থেকে, 
তাই দিয়ে আর খাতাটা ভরবো না।  

Saturday, August 9, 2014

খেয়ালী

অনুভূতির স্রোত্প্লাবন 
কবির খাতায় নামায় শ্রাবণ  
আধ্যাত্মিক চিন্তাধারা 
তাতেও হয়না বে-সাহারা 
সবচেয়ে কঠিন লেখা হাসির পদ্য 

রামগরুরের ছানার দোস্ত  
হাসতে গেলে সদাই ত্রস্ত 
অভ্যাসেরই হয়েছি যে দাস 
ছটফটিয়ে এপাশওপাশ 
হাসির কথায় ভয়েই মরি অদ্য 

দিব্যি কাটত অঙ্ক কষে 
পদ্যখাতায় ছন্দ ঘসে 
চিত্তে আমি আপনভোলা 
শ্রেষ্ঠ রেখা প্যারাবোলা 
অনন্তেরই ভাবনা শেখায় সদ্য  

তরতরিয়ে চলছি তো বেশ 
নতুন খেলার হিসেবনিকেশ 
দিব্যি খেলছে মাথার ভিতর 
আনন্দে তাই হচ্ছি বিভোর 
শক্তি থাকে আজকে আমায় রোধ তো 

Sunday, July 20, 2014

নষ্ট হওয়ার গল্প

যতই না হাতছানি দিয়ে যাক ঝাঁঝালো কোকেন 
আমি সেই বসে থাকি হাতে নিয়ে ফাউন্টেন পেন 
স্বপ্ন দেখা ভুলে গেছি তবু চলি আইনের পথে 
উঠবো না কোনদিন লোভনীয় পুষ্পক রথে 

স্বপ্নময় জীবনের হাতছানি ছায় চারিদিক 
কিন্তু তাকে সইব সে যে গরিবের সাধ্যের অধিক
কিছু লোকে দুয়ো দেয় কিছু লোকে বলে insane
শুনি সব, তাও থাকি হাতে নিয়ে ফাউন্টেন পেন 

কি আশায় খেলাঘর বাঁধে লোকে পাই না তো দিশা 
সবারই তো ফুসফুসে জমে আছে কালান্তক সীসা 
অন্ধকারে ডাক দেয় প্রতি রাতে বনলতা সেন 
আমি তবু বসে থাকি হাতে নিয়ে ফাউন্টেন পেন 



Thursday, July 17, 2014

মধ্যবিত্তের ভাবনা

কলম আজকে চায়না চলতে 
প্রদীপ নিভল, সঙ্গে পলতে 
ভাবনা আজও আগের মতই অতীতগামী ।

ট্রামের গন্ধে তন্দ্রা হারাই,  
প্লেনের শব্দে ছুট্টে পালাই । 
ক্যানভাসেতে স্মৃতির ছবির রঙ বাদামি ।।

শক্ত পোক্ত গোড়ার ঢালাই, 
আড্ডা মারতে কলেজ পালাই;  
মধ্যবিত্তের এমনই হয় সালতামামী ।

তবুও হয়তো যৌবনে ঠিক 
পদ্য লিখব নিয়মমাফিক, 
ভাষার থেকেও ভাবনাতে যা অনেক দামী ।

জমিয়ে সাহস ফেলব ডাকে, 
ই-মেলে - যা মানায় তাকে 
পড়বে তুমি যতই সেসব হোক বেনামি...

Friday, June 27, 2014

তোমাকে

অনেকদিনের কবিতাখান লিখতে বসে ভাবি
কেমন করে পূরিব আজ তোমার শোনার দাবি
ছন্দের অমিল কাটাতে আজ লাগল বহুদিন
সেই কদিনে তুমিই হলে দিগন্তে বিলীন ।

আকাশপানে তাকিয়ে তবু করব জোরে পাঠ
এইটুকু আশ শুনতে তোমার হবেনা বিভ্রাট
এও যেন এক তেপান্তরের মাঠ পেরোনোর সূত্র
তোমার গল্পে যেথায় কভু থামেনি রাজপুত্র ।

রুদ্রাক্ষের মালার গন্ধ রয়েছে আজও টিকে
চিরুনিতে তোমার চুলের রঙ হয়নি ফিকে
তবু এসব চিহ্নস্বরূপ, এর চেয়েও যা বড়
এখনো তো মনের ভেতর তুমিই বিরাজ কর ।

Saturday, May 24, 2014

অসম্পাদিত

কলম ছুটছে তাই তো এখনও টিম টিম করে জ্বলে যাই
ভাবনা যতই এলোমেলো হোক কাগজের ওপর লিখি তাই
সম্পাদনার কঠিন গেরোতে কাটছাঁট হত মন আমার
সবার মনকে জুগিয়ে চলেছি শেষ হল আজ সে চলার

ক্বচিৎ কোন ভুল হয়ে গেলে মাথা পেতে নেব ভুল কেই
নিজের সৃষ্টি যেমনই হোক সে স্বীকার করতে দ্বিধা নে
নতুন পথের ধুলো পায়ে মাখি নতুন গন্ধ খুঁজে পাই
নিয়মের কোন বাঁধনে আটকা পড়লে করবো দূর ছাই

অপরাধ বোধে করিনি যাত্রা ভয় পাই নাকো দণ্ড
মন হয় আজ শুরু না করলে থেকে যাব চিরভণ্ড
নতুন যুদ্ধে যতই বা হই নিমেষে রণক্লান্ত
তবু ছাড়ব না দুর্গম পথ তবুও হব না ক্ষান্ত


Thursday, May 15, 2014

কেমন করে?

কেমন ভাবে খুঁজব চলার পথ?
কেমন করে হব না আর বিফল মনোরথ?
স্পষ্ট করে বলব আমার মত
কেমন করে ভুলব আমার চলার গতি স্লথ ?

কেমন করে মুছব চোখের জল
নিজের কথা বলব যতই থাকুক কোলাহল
স্বপ্ন দেখব হয়তো অনর্গল
চিরন্তন সে বিশ্বে আমায় উড়িয়ে নিয়ে চল --

কেমন ভাবে মন লাগালে হয়? কোন পথেতে চলতে পেলে মিলবে বরাভয়? কেমন করে প্রেম হবে অক্ষয়? কেমন করে বন্ধ হবে ভাবনার অপচয়?


Sunday, May 11, 2014

মা ও শিশু

মা বলে ডাক ডাকতে শেখা সহজ কারণ
মায়ের মত কেউ কখনো হয় কি আপন;
যার জঠরে ঘুমিয়ে ছিলাম দশখানা মাস,
সুযোগ পেলেই আবার সেথায় লোকানোর আশ

আজও জাগে, মনের ভেতর রয়না ঘরে।
শৈশবেরই সুখস্মৃতি ছলকে পরে।
পরশ যে তার একই আছে আগের মত।
ছোট্ট শিশু দুষ্টুমিতে সদাই রত

তার চোখে সেই। মিথ্যে তো নয়, সহজ সরল
যেই শিশুটির থাকত হাতে ফিডিং বোতল
সেই ছেলেটি আজকে কেমন অঙ্ক কষে
একলা কেমন কাটে সে দিন দূর প্রবাসে



Thursday, May 8, 2014

রবিকবির প্রতি

আজও আমাদের মননেতে আছে সে চিরনবীন সত্ত্বা, 
যার অপেক্ষা মথুরাপুরীতে করেছে বাসবদত্তা। 
নিরুদ্দেশের যাত্রা করেছ ছেড়ে এই ধরাধাম ; 
সোনার তরীতে সুযোগ পেলেই তোমা সাথে চড়তাম।

বাংলার বধু এখনো তো মধু বুকে নিয়ে বাস করে, 
আর সবই আছে শুধু তুমি নেই নিঃস্ব ধরণীপরে। 
যমদূতপ্রায় মালীও বুঝেছে বাবুমশায়ের খেলা, 
আমদুটি লয়ে এসেছে সে আজ তোমার পূজার বেলা।  

আজি এ প্রভাতে কি গান গাহিছে সকালবেলার রবি ,
তার কিরণেতে প্রজ্জ্বল সবে, তার ছন্দেতে কবি। 
আরবার যদি দেখাও দাও ফের জন্মের শুভ ক্ষণে 
বাইশে শ্রাবণ আসতে দেবনা এই সাধ রাখি মনে।।


Tuesday, May 6, 2014

অনন্ত-যাত্রা

হাওয়ার সাথে দুলতে বেরই সন্ধ্যা হলে, সারাদিনের খাটনি শেষে পাখির দলে ফিরবে যখন ছোট্ট তাদের আস্তানাতে হিসেব কষে আমিও তখন উঠবো মেতে

মেঘের পরে মেলব যখন ইচ্ছেডানা 
পাখনা খুলে ওড়ায় তখন নাইকো মানা 
স্বপ্ন দেখার ভাঙবে যে বাঁধ এখন তখন 
খেয়ালখুশির পথের পথিক হলেম যখন 

কেমন বুঝি মনের পরে রং লাগালো
সময় পেলে শিখব তখন বাসতে ভালো  
তেপান্তরের মাঠের ধারে যেমন লোকে
ম্যারাথনের প্রস্তুতি নেই স্বপ্নলোকে

Wednesday, April 30, 2014

এযুগের মে দিবস

শোষক তুমি যতই আমার রক্ত চুষে খাও
তবুও আমি বলব না মোর কর্তা চেয়ার মাও
দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের যতই বাড়াও দাম
চোখ পাকিয়ে যতই তাকাও হইবনাকো বাম

সাম্যবাদের বার্তা দিয়ে যতই মারো দাঁও 
স্পষ্ট তোমার স্বরূপ এখন। যেইখানেই পালাও 
কেন্দ্রীকরণ তত্ত্ব এবার সত্যি হলো ফেল 
পড়ছিল বেশ সেই সুযোগে তেলা মাথায় তেল   

সাম্রাজ্যের জুজুর ভয়ে যতই কর ত্রস্ত 
শ্রমিকশ্রেণী তোমার পরে আজকে খড়গহস্ত 
সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠন গরিব গেল খোয়া 
সবার কাছে স্পষ্ট এখন কে হলো বুর্জোয়া 


Tuesday, April 29, 2014

নব অরুণোদয়

দুঃসময়ের কঠিন প্রাপ্তি ভাবনার অবক্ষয়
স্বপ্ন দেখতে চাইলে আজকে দু চোখ মেলতে হয়
ভীরু চোখে চাই পৃথিবীর পরে স্বপ্নবিলাসময়

অন্ধকুপেতে বদ্ধ হওয়ার যন্ত্রণা ক্ষণে ক্ষণে 
প্রত্যহ করি সে যাতনাভোগ জানি তার নিরসনে 
চিরনতুনের বার্তা মিলবে সত্যের অন্বেষণে 

মৃতপ্রায় রূপে বেঁচে থাকবার করেছিনু অভ্যাস 
তবু কেন মনে সন্দেহ জাগে কিসের দীর্ঘশ্বাস 
কিসের তরে যে দেখিবারে করি নব অরুণের আশ 

ভাবনাবিমুখ ছিল না কো সুখ তাই তো অকুতোভয়  
আত্মবিলাপে রত নই আর, করি নব প্রত্যয় 
শিখতে বসেছি কিভাবে আবার স্বপ্ন দেখতে হয়


Sunday, April 13, 2014

আমার ভাবনা

আমার ভাবনা শিমুলতুলো বুক ফুলিয়ে আসে 
দুনিয়া তাকে উড়িয়ে বেড়ায় আচমকা নিঃশ্বাসে 
ছড়িয়ে পরে এখান সেখান অচিন কোনো পুরে 
ভাবনা আমার সুদূর সেথায় একলা চলে ঘুরে

ভাবনা আমার শুকনো পাতা হেমন্ত বাতাসে 
ঝরার পরে আবার কখন স্নিগ্ধ হাওয়ায় ভাসে 
আবার কোনো নতুন পাতা একই পথে যায় 
ঋতুর সাথে জীবন যে তার একই তরী বায় 

Thursday, April 3, 2014

চাহি নাই

আমি তোমায় মনে থেকে ঠিক চাইনি
তবুও কেন কথার ফাঁকে 
তোমার আবেগ জমতে থাকে
সেই আবেগে ঘা দিতে আজ ভুলেও পা বাড়াইনি 

কতই কর ঘর বানাবার সখ স্বাধ 
পথের পরে গল্প কর 
হোচট খেয়ে আঁকড়ে ধর 
গুস্সা করে কতই দেখাও মনমোহিনী আহ্লাদ 

আমিও তোমায় ইঙ্গিতখান দিইনি 
নিইনি টেনে বুকের মাঝে 
বকিওনিকো সকাল সাঁঝে 
মুখ না খুলে বার্তা দেওয়া কক্ষনো শিখিইনি 

হয়তো করেই চলেছি সেই অন্যায় 
সত্যি কথা বলতে যে হায় 
কষ্ট লাগে, দুঃখ পাওয়ায় 
দিইনি তো মন তোমায় তবু আমার দেখি মন নাই





রাত্রিভ্রমন

চল আজ ঘুরতে বেরই হাত ধরে 
কালো মেঘ যতই উঠুক ডেকে 
আসলে সে হিংসে করে আজ মোদের 
পরে আছে মন খারাপের ঠেকে 

চারিপাশে যতই থাকুক অন্ধকার 
তারই মাঝে আমরা দুজন হাঁটি 
এরই সাথে বৃষ্টি পড়ছে দুর্নিবার 
চাঁদের আলো চুমছে সিক্ত মাটি 

খেলা চলে চোখ ধাঁধানো বিদ্যুতের 
সে আলোয় স্পষ্ট হলো পথ 
জানি শেষে রাস্তা বাঁকবে দুইজনের  
সে কারণে মোদের গতি স্লথ


Tuesday, March 25, 2014

বসন্তবাতাস

বসন্তের এই বাতাসে সহসা উথলিয়া ওঠে মন,
ফুলের গন্ধে নব আনন্দে হই আবেগপ্রবণ ।
বন্ধুর সাথে ছোট দুই হাতে ফুল কুড়ানোর দিন, 
এখনো মনেতে ফের জেগে ওঠে অতীতে যাহা বিলীন ।।

দখিনা বাতাসে ফুলরেণু হাসে গন্ধ ছড়ায় আজ, 
পলাশের রঙে ছোপানো ধরণী একই অপরূপ সাজ, 
তটিনীর পারে কান পেতে শুনি কুলকুল করে জল, 
সবুজ ঘাসেতে ফের ঢাকা পরে রুক্ষ ধরনীতল ।

চিরনতুনের সাথে হয় এক চিরপুরাতন গান 
সময়ের সাথে তাল মেলাবার খেলা আজ হলো ম্লান 
প্রেমের সুরেতে মুখরিত ফের আজিকার দেবভূমি 
এ কোন ইন্দ্রজালের মহিমা এনে দিলে ফের তুমি 


Sunday, March 23, 2014

এলো বসন্ত



ফাল্গুনের আজ সময় হলো খেলতে শীতের সাথে
ফুলের রেনু আজকে যেন বরফ পেল হাতে
শুভ্র শাখা স্নিগ্ধ তনু সিক্ত বসন সনে
ভ্রম হলো আজ এলেম বোধহয় শিমুলগাছের বনে

বসন্ত আজ এমনি এলো শীতল হাওয়ার মাঝে
পলাশ তরু দীপ্ত তবু রক্তবরণ সাজে
অশোক গাছেও রং লেগেছে যেমন মানিক জোর
হেমন্তের আজ মুছল স্মৃতি রাঙিয়ে রঙিন ঘোর






Thursday, March 6, 2014

শব্দহারা

কথা বলা সহজ কথা নয় 
তাই তো কথা কইতে লাগে ভয় 
তবুও কথা কইতে যে সাধ হয় 
কথা কওয়ার করেছি প্রত্যয়

রিক্ত হলেম সকল কথা কয়ে 
ঘরের কোনে একলা বসে রয়ে 
সকল ব্যথা দিব্যি ছিলেম সয়ে 
ভালবাসার নীরব আনন্দ এ 

যায় হারিয়ে  শব্দ গুলো আজ 
সন্ধ্যেবেলা পাখিদের আওয়াজ 
প্রকৃতি নেয় দুখিনী এক সাজ 
স্বতন্ত্রতার থামল কুচকাওয়াজ 


Friday, February 21, 2014

মাতৃভাষা মাতৃদুগ্ধ

মায়ের ভাষা শিখেছি সেই
কত্ত বছর আগে
তবুও যে তার মধুর বুলি
শুনতে ভালো লাগে।

কথার ফাঁকে স্মৃতিমেদুর
হই যে ক্ষণে ক্ষণ
গায়ে যে আমার পুলক লাগে
সদাই, চিরন্তন। 

আধো আধো কথার ফাঁকে
অনেক ভালবাসা
শব্দ যে তার আদর সোহাগ,
আমার বাংলা ভাষা।  

Monday, February 17, 2014

লক্ষ্য

চলেছি সেই পথটি ধরে 
যে পথ দিয়ে চলতে গেলে পাব না আজ বাধা 
কষ্ট করে কেষ্ট পেলাম 
হাজার খাটি তবুও কেন রা নাহি দেয় রাধা 

কঠিন পথে চলতে গিয়ে 
সহস্রবার ধাক্কা খেয়ে হয়েছি যে আজ ক্লান্ত 
ছিলেম নিজের লক্ষ্যে দৃঢ় 
তবুও কিসের আশায় শেষে হলেম যে দিগ্ভ্রান্ত 

আজকে যে তাই সহজ পথে 
চেষ্টা করি এক পা দু পা,  দেখছি সেটাও দুর্গম 
সেথাও মেলে হরেক বাধা 
সেথাও নিজের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হই হরদম 

Wednesday, February 12, 2014

অপারগতা

নিভৃতে সে করেছিল মান অভিমান 
কন্ঠেতে বাঁধেনি সে প্রেমাতুর গান  
অবহেলা ভরে তার মুখখানি ম্লান 
তবুও সে সয়ে গেল শত অপমান 

হাতখানি চেয়েছিল তবু মাগেনি 
নীরবে সে পুজেছিল, অনুরাগিনী  
কালঘুমে পেয়েছিল হতভাগিনী 
পাশে এসে বসেছিল তবু জাগিনি 

Sunday, January 19, 2014

মুক্তি

মুক্ত করে দিলাম তবে ব্যক্ত করা হয়নি 
যুক্ত করে পথের ধারে শক্ত হওয়া সয়নি 
মুক্ত করে দেওয়ার মাঝে বাঁধন তবু প্রস্তুত 
শতেক সতর্কতার পরেও রইলো কিছু দোষ খুঁত  

আঁকড়ে ছিলাম কিসের তরে কিসের ছিল বিভ্রম 
উড়তে দিলেও অচিন পাখি আসবে ফিরে হরদম
আকাশ আলোয় বেড়ায় খেলে মনের যে তাই প্রাপ্য 
খাঁচার ভেতর বন্দী যে সুখ শীঘ্র সে সমাপ্য 

মোহের মায়া প্রেমের পরশ, গভীর হলো সংঘাত 
রণক্ষেত্রে মধ্যপন্থী আঘাত পাই অকস্মাৎ
স্বতন্ত্রতার সমাপ্তিতে  মায়ার জালে বদ্ধ 
ভালবাসা আজকে কেবল যুদ্ধজয়ে লব্ধ 
 

Sunday, January 12, 2014

আমার স্থান

একটা কথা বলতে চেয়ে 
থমকে থামি লজ্জা পেয়ে 
আরষ্টতা গ্রাস করে আজ 
চোখ পাকালো সভ্য সমাজ 

লক্ষ লোকের ভিড়ের মাঝে 
বসন্তরাগ একলা বাজে 
হৃদয়পুরের কুঠির ভেতর 
সুরের নেশায় হয়েছি বিভোর 

 মেঘের সাথে উড়তে বেরই 
বাতাস যেথায় পাচ্ছে না থৈ 
সূর্যকিরণ খায় যে ধোঁকা 
তেজস্বী সে তবুও বোকা 

আমার নতুন ঠিকানাখান 
মুক্তিলাভের প্রথম সোপান 
ধাঁধায় যে তার আটকানো পথ  
খুলবে কেবল তোমার নিকট 


Monday, January 6, 2014

ফেরা

অনেকদিন পাস্তা খাওয়া হলো 
আজকে বরং ভাত খাওয়ার দিন 
পার্মেসান চীজের স্বাদ ঘুচলো 
ওসব কিছুই নেহাত বর্ণহীন 

দূর দেশে যতই ঘুরে ফিরি
মনের ভেতর রয়েছে তুমি বেশ 
তবু করি মিথ্যে হারাকিরি 
এসব আমার ছোট্ট বদভ্যাস 

চিরন্তনী আবেগের কাছে 
ম্লান হয়েছে ক্ষনিকের ছটা
রং বেরঙের প্রলোভন আছে 
তবুও খুঁজি স্নিগ্ধ নীরবতা 


Friday, January 3, 2014

হৃদয়প্রবাহ

ভালবাসতে শিখিনিকো মোটে
প্রকৃত অন্তর হতে আজও 
ভাসিনিকো দুর্নিবার স্রোতে 

হয়ত বলেছি কোনো কথা 
দ্বিধা টুকু ধরে রেখে দিয়ে 
তাই সে তো হলো নীরবতা 
প্রবল বিশ্বাস থেকে যদি 
দৃঢ়তার সাথে ব্যক্ত করি 
হৃদয়প্রবাহ নিরবধি 

সে জোয়ারে ভাসিয়েছি দেহ 
ভবিষ্যত ভাবনাটি ভুলে 
তোমা তরে সপিলাম গেহ 
করি আজ তব স্তবগান 
হে পূজ্য আমার দেবতা 
তোর তরে আকুলিত প্রাণ