Thursday, November 26, 2020

ব্রেকের পরে

আমারও তো ইচ্ছা করে সহজেতে পদ্য লিখি, 
খেলো হব? বর্তমানের এ সমাজে তায় ক্ষতি কি? 
একতাতে বদ্ধ হব, পিছুটানে চাইছি ইতি 
এ সময়ে মনখারাপে, তুই যদি সময় দিতি! 

হব না তো বাধার স্বরূপ, ভাবনা সে মনের মাঝে, 
ভয় করে দুঃখ-খাতায় যদি থাকে সে মন্তাজে। 
আমাদের অল্পদিনের ঝিকিমিকি ভাবনা রাজি, 
তবু তার আলোর ছটায় লাজুক হল আতশবাজি। 

তাই বুঝি নিত্যদিনই পাঁজি বলে দীপান্বিতা, 
কী করে যে এই বয়সে পেলাম এক মনের মিতা! 
তাই বলি সবুর করো, আছি আমি তোমার কাছে, 
চোখ দুটো মুদলে দেখো দ্যোতনার স্বপ্ন বাঁচে। 

এ তো এক দীর্ঘ পথের সূচনার প্রথম পাতা,
কাঁচা হাতে যতই সে হোক, অতসীর মাল্য গাঁথা! 
গোলাপেতে খুব অরুচি জানি আমি সেদিন থেকে, 
যেদিনের হিসাব ছিল অসীমের অভ্র মেখে। 

Wednesday, September 16, 2020

জানালা


আমাদের এই ছোট্ট একটা জানলা, 
ভালবাসা এসে দুপুরবেলায় বসে, 
অনিয়মের এই নিয়মমাফিক প্রহরে
জমকালো রোদে সন্ধ্যাতারারা খসে। 

ফাঁকা অবসর খুঁজে ফেলি দুইজনে 
প্রচণ্ড ভিড়ে প্রেমালাপ ফিসফিস, 
সেখানে আমরা কল্পনার কেবিনে 
একসাথে করি সোহাগসিক্ত উইশ!

চোখের আলোয় ক্ষুদ্র আকার আয়না 
ভালোবাসা ফিরে ধাঁধিয়ে দিয়েছে চোখ। 
প্রেম যদি একে বলে তবে কিছু চাই না, 
এইভাবে বাকি জীবন কাটানো হোক।  

Wednesday, September 9, 2020

বিসর্জন

এবার হয়তো ফুরিয়ে এসেছে আমাদের সব বার্তা,  
যতটুকু আছে আগামীর শ্রোতে শুনতে পাবে না আর তা।
হারিয়ে যাচ্ছে এই অছিলায় জীবনের সব কাব্য, 
ছন্দ হারাই, শব্দ হারাই - কী বা নিয়ে আর ভাবব’! 

মুড়িয়ে দেব কি নোটেগাছটুকু, বুঁজিয়ে দেব কি জলাশয়-  
প্রশ্ন, আমার ব্যবহারে আজ এ কথা কি তোর মনে হয়? 
সমঝোতা আমি করতে চাই না জীবনের চৌমোহনায়, 
আর সব কিছু যেমন হয়েছে, চাই না এ হোক কোন দায়। 

হয়তো আবার হেরে যাব সেই, সমাজের কাছে নির্বাক, 
বাকি সময়টা চলে যাবে করে আত্মমননে পরিতাপ! 
হয়তো ভাবিস একই কথাটা, নীরবে থাকিস শরমে
কুশণ্ডিকার চিতায় সাজিয়ে মরে যাব তাই মরমে। 

বলতে পারিনি নিজের স্বভাবে, দোষ তাই আর কাকে দিই! 
এই জীবনের ব্যর্থতা সব সত্য বলতে নিজেরই! 
সিদ্ধান্তেতে দোনামোনা করে বাতুলতা আজ সন্তাপ, 
কবেই আমি সে পেরিয়ে এসেছি বিপথে যাবার শেষ ধাপ। 

Monday, August 3, 2020

অনেকদিন ধরে

একদিন, বহুদিন কেটে গেলে ফিরে আসে ফের,
একই তবু বৈপরীত্য সাথে আনে মধুর অতীতের
কিছু স্মৃতি, অমলিন, ডেকে চলে বারে বারে মোরে; 
সরণীর সরু গলি বেয়ে চলা চিরায়ত ভোরে।  

একই, তবু এক নয়, প্রতিবার থাকে কিছু স্বাদ 
অচেনা, যা গড়ে চলে অনায়াসে স্বপ্নের প্রাসাদ। 
প্রতিবার বাস্তব মনে হয়, তুচ্ছ অভিজ্ঞতা! 
এই বুঝি যৌবনে নিয়ে আসে কৈশোর বারতা। 

এভাবেই শৈশব টিকে থাকে আমার অন্তরে,  
পিতা হওয়া হয়তো তাই আশঙ্কার নয় চিরতরে, 
পারদর্শী হয়েছি সে নিজেরই কল্পিত পরিসরে, 
আমার আমিত্ব যেথা একমনে খেলাধুলা করে।

একদিন শিশু হওয়া, শৈশবের থেকে হয়তো দূরে 
জীবনের শ্রেষ্ঠ কাল ফিরে দেখা আনন্দের সুরে। 
কিছু কিছু এভাবেই কালের প্রভাব এড়িয়ে আছে, 
হয়তো বা পৃথিবী সে প্রিয়পাত্র ঈশ্বরের কাছে।

Sunday, August 2, 2020

চেপে রাখা

প্রারব্ধ ছিল হয়তো পূর্ব জন্মের কোন দোষে, 
এখনো কাটবে, আগের মতই, দুঃখে অথবা রোষে। 
তোমাদের সাথে অভিনেতা আমি, সুনিপুন সেই কলা,  
আমার আমি সে রঙ্গমঞ্চে অথৈ অন্তঃস্থলা। 

শুধুই নিজের জন্য যদি বা বাঁচবার কথা ভাবি, 
সে তো বয়ে আনে মৃত্যুপুরীর সদর পথের চাবি। 
আছে এ জীবনে বহু পিছুটান, সেই হল সব বাঁধ, 
ঠোক্কর খেয়ে কাটিয়ে চলেছি, জন্মের অবসাদ।

দুঃখ দেব না তোমাদের, সব থাকুক অন্ধ খোপে, 
কী বা লাভ আর এ সময়ে এসে অযথা সে দোষারোপে। 
অভ্যাস তো সে বহুদিন হল, নতুন পথের সওয়ারী  
হবার তো কোন আকাংখ্যা নেই,  যা হবার তা তো হবারই। 

তোমরাও জানি চাও না দুঃখ ভাগ করে নিতে বিন্দু, 
এ আমার মধ্যে তাই বাস করে অশেষ বিষাদসিন্ধু। 
তার বালুচরে হেঁটে চলি আমি যখন হয়েছি একাকী, 
বালুকণাগুলো অতি পরিচিত, মুক্তোর পাব দেখা কি? 

এই আশ্বাসে ভুলতে চাই না, বুদ্ধিমত্তা করে গ্রাস, 
কিছুটাও যদি মূর্খ হতাম, ভাবতাম এসব পরিহাস। 
সেই হয়তো বা সুখের ঘরের চাবির প্রধান উপাদান, 
জীবনের এই প্রধান প্রশ্নে চাইছি না আর সমাধান।    




Wednesday, July 29, 2020

কলকাতার কবিতা

দারুণ দুর্দিন চলছে বহুদিন বাংলা কবিতার 
কানাগলি, ছেঁড়াতার- ঠিক যেন কলকাতা শহর
চাপা দুর্গন্ধগুলো মুক্তি পেল ডানা মেলবার
আছে আর কী বা পড়ে, চারদিকে শব্দের কবর। 

কিছুই দেবার নেই তোমার ওই প্রাচীন শ্মশানে 
গোঙানির মত তার কণ্ঠস্বর মৃদু থেকে ক্ষীণ 
ত্যাগ করে এসেছি সে কত যুগ কাছারি ফরমানে
এবার সুশীঘ্র হোক অবয়ব পঞ্চভুতে লীন। 

অতীতকে অতিক্রম কঠিন তা বুঝি বারে বারে, 
তাই একাকীত্বের সঙ্গী আজ, স্বেচ্ছায় তো নয়
এগোব তবুও পথে, তোমার সমাজের অগোচরে 
তোমাদের অভ্যাস আমার অনর্থক অপচয়। 

ফিরে দেখা

একদিন, বহুদিন কেটে গেলে ফিরে আসে ফের,
একই তবু বৈপরীত্য সাথে আনে মধুর অতীতের, 
কিছু স্মৃতি, অমলিন, ডেকে চলে বারে বারে মোরে; 
সরণীর সরু গলি বেয়ে চলা চিরায়ত ভোরে।  

একই, তবু এক নয়, প্রতিবার থাকে কিছু স্বাদ 
অচেনা, যা গড়ে চলে অনায়াসে স্বপ্নের প্রাসাদ। 
প্রতিবার বাস্তব মনে হয়, তুচ্ছ অভিজ্ঞতা! 
এই বুঝি যৌবনে নিয়ে আসে কৈশোর বারতা। 

এভাবেই শৈশব টিকে থাকে আমার অন্তরে,  
পিতা হওয়া হয়তো তাই আশঙ্কার নয় চিরতরে, 
পারদর্শী হয়েছি সে নিজেরই কল্পিত পরিসরে, 
আমার আমিত্ব যেথা একমনে খেলাধুলা করে।

একদিন শিশু হওয়া, শৈশবের থেকে হয়তো দূরে 
জীবনের শ্রেষ্ঠ কাল ফিরে দেখা আনন্দের সুরে। 
কিছু কিছু এভাবেই কালের প্রভাব এড়িয়ে আছে, 
হয়তো বা পৃথিবী সে প্রিয়পাত্র ঈশ্বরের কাছে।

Monday, July 20, 2020

আকাশ দেখা

আজ প্রভাতের আকাশে তোর আরেকটা ছবি তুলতে হত,
রূপালী রং বেলুনগুলো উড়ে যেত অদম্য প্রত্যয়ে,  
মাথার উপর আচ্ছাদনে মুগ্ধ হত বৃষ্টি। আগের মত
কত কিছুই দৈনন্দিন নতুন করে দেখতে জানতে হয়। 

হয়তো আকাশ তোর জন্যই সেজেছিল ভারাক্রান্ত দিনে, 
হয়তো সূর্য আঁচ করেছে সহযোগে কেমন করে ফুটবে, 
মেঘের পালা প্রসাধনের কাজটা একটু এগিয়ে মার্জিনে, 
কেশমালার ভাঁজগুলো আজ যেমন করে কবিতা হয়ে উঠবে।  

কালকে আবার দেখব, এখন এভাবেই তো সময় কাটার দিন, 
জীবনপথে এমন কত কথা এবং দেখার সময় আছে, 
অন্য যা সব অভিযোজ্য বস্তু সে সব হোক না অন্তরীণ, 
ভালবাসা সেসব ছাড়াও এমনি করে অনায়াসেই বাঁচে।  

Tuesday, July 14, 2020

গতিধারা

তারার খোঁজে নতুন আমি, 
এসব কথাই আশ্বাস দেয় স্বপ্ন দেখার; 
এসব কথাই অন্ধকারে 
জোনাকি হয়ে চুপিসারে 
হদিস আনে অদেখা এক অগ্নিশিখার। 
আছে এমন চতুর্দিকে, 
এরাই আমার নকশা আনে গল্প লেখার।

এরাই একটু দমকে চলে,
মাঝে মাঝে ঝিমিয়ে পড়ে সাঁঝের বেলা,  
আমরা হয়তো দুলকি চালে, 
খেয়াল খুশির দিন ফুরালে 
নজর করি আঁধার আলোর মিলনমেলা। 
এমনি করে অলক্ষ্যেতে 
রচিত হয় নতুন করে মায়ার খেলা। 

কথা রাখার সময় শুরু, 
প্রতিস্পর্ধার এভাবেই তো গ্রাসাচ্ছাদন।
এভাবেই তো ভুলিয়ে দিয়ে,  
কল্পকথার মেঘ উড়িয়ে 
স্বপ্নপুরীর দ্বিতল বাড়ির ভিত্তি স্থাপন, 
অল্পদিনে যেসব কিছু
পালটে গিয়ে হবে কেবল জীবনযাপন। 

Monday, July 6, 2020

হিসেবনিকেশ

জীবনের বহু হিসেবনিকেশ করি আমি প্রতিদিন।  
বাস্তববোধ হয়তো আমার পথে সহায়ক নয়।   
যা ছিল আমার একান্ত কিছু, এখনো তো অমলিন, 
সেই দিয়ে তার বিচার করব, সময়ের অপচয়! 

 আতস কাঁচের সাহায্যে দেখা দুনিয়াদারীর খেল, 
সব কিছু বুঝি বৃহদাকারেতে করে আজ ভয় ভীত। 
তবু আমি সেই সৃষ্টিছাড়ার দলে, নই উদ্বেল,
উদাসীন তার ভবিতব্য যে করে চলে বিস্মিত। 

প্রারব্ধ বলে পাশ কেটে যাব, সে সুযোগ ক্রমে ক্ষীণ, 
সমাজের সাথে যোগাযোগ কমে করেছে আজ একঘরে, 
পান্থজনের চিন্তাচেতনা-- সেও তো অন্তরীণ, 
জীবন কাটবে তাই বিপরীত পথেতে যাত্রা করে। 

অহেতুক সবই আমার জীবনে অযাচিত, অনাহূত,   
বিশ্লেষণের প্রচেষ্টা তাই প্রতিপদে পায় বাধা; 
কে তুমি বুঝবে এই পরিবেশে আমার মনঃপূত, 
কে তুমি ফেরাবে জীবনে আমার আত্মের মর্যাদা। 

Tuesday, June 23, 2020

ধরিত্রী

ভালই লেখা যাচ্ছে কি বলেন?
বেশ স্রোতস্বিনী নদী হয়ে উঠেছে
এই শব্দগুলো, আমাদের দুর্বিপাকে। 
খেদ থেকে যায় কেবল ভাবনা নিয়ে; 
অবশ্য তাকে অধিগ্রহণ করব এই দুঃসাহস রাখি না মনে। 
সে শক্তির আধার নই এই সময়ে, 
যেমন শক্তি ছিল, বা বিনয়, বা বিষ্ণু। 

লিখে ফেলার অদম্য শক্তি ছিল গণেশের,
আধুনিক সমাজে যার স্থান দুর্বিষহভাবে গোবরের পরে। 
হয়তো হিংসা থেকেই! 
ইচ্ছা এবং শক্তি, দুই চিরন্তন শত্রু। 
ওরে বাবা, দূরে থাক, ভুলেও কাছে আসিস না এই বিহনবেলায়। 
শেষে কি মৃত্যুযন্ত্রণা ডেকে আনবে কর্মক্ষমতার আকর্ষণ!

এমনই এক বিভীষিকা গ্রাস করে আমার সাধের মাতৃভূমি। 
না পারি দূরে ঠেলতে, আবার না পারি বুকে ফেলতে। 
এই ভাবেই পার হল বোধকরি কয়েকশো বছর। 
সেই জগদ্দল পাথর উপড়ে ফেলার জন্য আসবে নতুন আম্পান। 
সেইদিন ক্লান্তিহীন, সেই দিন আসবে নিয়ে নব অভ্যুত্থান। 

Thursday, June 4, 2020

মহামারী

সব কিছু ভেঙ্গে গেছে, যন্ত্রণা, সেও খান খান,  
এখন দিনের চিত্র যুদ্ধক্ষেত্র কিম্বা মরূদ্যান। 
নতুন ভাবনার জন্য পটভূমি হয়তো বা প্রস্তুত, 
একেবারে অভিনব, বিদেশি প্রভাব বহির্ভূত।

সমষ্টির দিকে যাত্রা, স্বাভাবিক নাকি অপ্রাকৃত
দেখব আবার আজ, প্রায়োগিক অভিজ্ঞতা অর্জিত!
তবু কি প্রমাণ হবে তোমাদের পারদর্শী চোখে, 
যাদের নিয়মনীতি এখনো দুঃসাধ্য এ ভূলোকে? 

সেই কি পিছিয়ে যাব, যাত্রার প্রথমার্ধকালে? 
সেই কি অনুযোগ করা অস্ফুটে সকলের আড়ালে? 
স্ব-অঙ্কিত ভাগ্যরেখা সেই কি করবে প্রবঞ্চনা? 
সেই কি অনতিলম্বে বুঝব এ আমার মঞ্চ না? 

এখন সংঘর্ষ যত একান্তই ব্যক্তিগত স্তরে
যার জন্য মানুষেরা শেষ প্রাণবিন্দু দিয়ে লড়ে।   
এতখানি আন্তরিক ভাবনা সে কি স্বাতন্ত্র্যের ডাক? 
সময় বলবে সব, অধুনা যে বিস্ময়ে নির্বাক। 

Thursday, April 9, 2020

রাতবিরেতে

রাত বেড়েছে নির্নিমেষে, অন্ধকারকে আঁকড়ে ধরি আরো। 
লকডাউনে দুজনেরই বলতে গেলে এখন পোয়া বারো। 
ফিরতে হবে নিত্যদিনে, যন্ত্রণা হয় সেসব কথা ভেবে; 
প্রার্থনা আজ, এবার তুমি অন্তরালের আর কটা দিন দেবে? 

ভুলব সবই, সুখস্মৃতি, ছোট্ট থেকে যেমন করে ভুলি,
পরব আবার চোখের উপর অনিচ্ছাতে বাস্তবেরই ঠুলি। 
এখন নাহয় ফানুশ হয়ে উড়ব সবের ঊর্ধ্বে উঠে পড়ে,  
উল্লাসে আজ তারস্বরে দেব সবার ঘুমটা মাটি করে।  

জানি তারা ঠুকবে নালিশ, সইতে তাদের হবে বেজায় কষ্ট; 
তবু আমি শুনব না তা, হব না আজ মোটেই লক্ষ্যভ্রষ্ট।  
এখন নাহয় সামলে দিও, কামান দেগো বিরক্তিকর হলে, 
আমিও তখন লুটিয়ে যাব এই কদিনের সুখ সমাচার বলে। 

Friday, March 27, 2020

চিতা

দগ্ধ হই চিরকাল, মাতৃদুগ্ধ আস্বাদন কালে
স্মৃতি যেন সেই থেকে বিস্মৃতিকে রেখেছে আবডালে; 
সে কথাও মনে পড়ে, ক্যানভাসে আছে কত কথা, 
সারমর্ম করলে যার নির্যাস থাকে নির্জনতা। 

এ আমার পরিচিত গন্ধ, আর চেনা অন্ধকার,
এখানেই নিত্যনৈমিত্তিক সব অনিত্যের সৎকার, 
নিমজ্জিত হই সেই নিষ্কলুষ অতৃপ্ত অনলে, 
ছাইগুলো আজকাল চেনা দেখে হেসে কথা বলে। 

আজও নাকি ঈগল আর চিলে চলে নিত্য কাড়াকাড়ি,
বৈতরণী বৈঠায় আমি তাই শাশ্বত সওয়ারি।
জানিনা কে আনবে জিতে বজ্রঘোষ মৃত্যু পরোয়ানা 
সুখ বলতে এটুকুই, শেষকালে কবরে যাব না।   

Sunday, January 26, 2020

জানিনা

সে আমার এক বন্ধু ছিল
হঠাৎ করেই আলাপ হল পথের ধারে
সেখান থেকে চলার শুরু,
লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াই চলা এ সংসারে, 
যেমনটা ঠিক চলতে থাকে
নিত্যদিনই, অভ্যাসের এই পৃথিবীতে 
এমনি করে শিখতে শেখায় খুঁটে খেতে। 

তবু বুঝি ক্লান্তি আসে, 
তাই তো কিছু বাতাসেরই লক্ষ্যে বসা, 
মাঝে মাঝে হঠাৎ করে, 
তেমন ছিল সেই সময়টা, শনির দশা,  
তারই মাঝে দমকা হাওয়া 
তারই মাঝে নতুন করে চিনতে শেখা 
স্বপ্ন এবং বাস্তবের এক ভগ্নরেখা।

হয়তো কেবল আমার সেসব, 
নিজের মনেই জমতে থাকা পূর্ণতা তার, 
যেমন করে নিচ্ছি তাকে, 
সে তো কেবল কালের স্রোতের দৈব জোয়ার,
নিজের মনে আঁকছি ছবি।
একই সাথে আঁকছে আরো অন্য লোকে
আজকে যারা ষষ্ঠ শ্রেণীর গদ্য টোকে।