যেভাবে বলেছ ঠিক সেইভাবে দরকারি ছিল,
দর্পণের প্রয়োজন অনুভব করিনি জীবনে;
বৃথাই কেটেছে তাই এতদিন, সব এলোমেলো,
হঠাৎ করেই বুঝি এসে গেছি যুগ সন্ধিক্ষণে।
বুঝিনি যে অকস্মাৎ এসে যাবে কেয়ামত আজ,
অপরিচিতের মত উপস্থিত হাশরের মাঠে,
ঘাস চিনব সে সুযোগও নেই বুঝি, কৃতঘ্ন সমাজ
এভাবেই ঠেলে দেবে দোজখের শেষ পরিখাতে।
সংগ্রামের অনভ্যাস, সেও তো তোমারই কারণে।
যদি দিতে নিয়মিত কিঞ্চিত কিছু বিষকণা,
জানি তাতে পাপবোধ জন্মাত তোমার অভিধানে,
তোমার পছন্দ জানি অবিরত প্রমূর্ত বেদনা।
শরশয্যায় থাকি যতদিন দৃষ্টিনন্দন,
শেষপাতে সুখবোধ দিয়ে যাব, প্রারব্ধ আমার।
তবে কেন দুঃখবিলাস, কেন বিরস বদন?
নাটকের শেষ অঙ্কে এটুকু তো দেওয়া চলে ছাড়!