Wednesday, February 20, 2019

বিষকন্যা

যেভাবে বলেছ ঠিক সেইভাবে দরকারি ছিল,  
দর্পণের প্রয়োজন অনুভব করিনি জীবনে; 
বৃথাই কেটেছে তাই এতদিন, সব এলোমেলো, 
হঠাৎ করেই বুঝি এসে গেছি যুগ সন্ধিক্ষণে। 

বুঝিনি যে অকস্মাৎ এসে যাবে কেয়ামত আজ, 
অপরিচিতের মত উপস্থিত হাশরের মাঠে, 
ঘাস চিনব সে সুযোগও নেই বুঝি, কৃতঘ্ন সমাজ 
এভাবেই ঠেলে দেবে দোজখের শেষ পরিখাতে। 

সংগ্রামের অনভ্যাস, সেও তো তোমারই কারণে।  
যদি দিতে নিয়মিত কিঞ্চিত কিছু বিষকণা, 
জানি তাতে পাপবোধ জন্মাত তোমার অভিধানে, 
তোমার পছন্দ জানি অবিরত প্রমূর্ত বেদনা। 

শরশয্যায় থাকি যতদিন দৃষ্টিনন্দন, 
শেষপাতে সুখবোধ দিয়ে যাব, প্রারব্ধ আমার। 
তবে কেন দুঃখবিলাস, কেন বিরস বদন?    
নাটকের শেষ অঙ্কে এটুকু তো দেওয়া চলে ছাড়! 

Tuesday, February 12, 2019

দর্শক

সমর বদলে যায়, 
ব্যুহের আকৃতি যেন সযত্নে গোপন রাখে, 
ভবিষ্যতে অকস্মাৎ হতচকিত করার জন্যই।
হৃদযন্ত্র দুঃসাহসী, 
অবিশ্রান্ত, রণক্লান্ত, তবু সেই যুদ্ধে যাবেই। 

উদ্দীপনা অর্থহীন, 
এমন অর্বাচীন দাবী আমি জানাই না নিশ্চিত। 
বাস্তব ও কল্পনায়, 
যত দূর দেখা যায়, 
আবছায়া, কুয়াশায় ঢাকা সবই, অপরীক্ষিত। 
পক্ষাবলম্বন করি সেই দৃঢ়চিত্ত সত্ত্বা আজ আমার অতীত! 

প্রত্যক্ষ করে চলি, 
ভাবলেশহীন থেকে যতটুকু করে চলা যায়। 
নিরবিচ্ছিন্ন শ্রোত, 
তবু নেই পাপবোধ,
সময়সমরে লড়া অভিজ্ঞতা এটুকুই শিখিয়েছে আমায়।