Monday, August 3, 2020

অনেকদিন ধরে

একদিন, বহুদিন কেটে গেলে ফিরে আসে ফের,
একই তবু বৈপরীত্য সাথে আনে মধুর অতীতের
কিছু স্মৃতি, অমলিন, ডেকে চলে বারে বারে মোরে; 
সরণীর সরু গলি বেয়ে চলা চিরায়ত ভোরে।  

একই, তবু এক নয়, প্রতিবার থাকে কিছু স্বাদ 
অচেনা, যা গড়ে চলে অনায়াসে স্বপ্নের প্রাসাদ। 
প্রতিবার বাস্তব মনে হয়, তুচ্ছ অভিজ্ঞতা! 
এই বুঝি যৌবনে নিয়ে আসে কৈশোর বারতা। 

এভাবেই শৈশব টিকে থাকে আমার অন্তরে,  
পিতা হওয়া হয়তো তাই আশঙ্কার নয় চিরতরে, 
পারদর্শী হয়েছি সে নিজেরই কল্পিত পরিসরে, 
আমার আমিত্ব যেথা একমনে খেলাধুলা করে।

একদিন শিশু হওয়া, শৈশবের থেকে হয়তো দূরে 
জীবনের শ্রেষ্ঠ কাল ফিরে দেখা আনন্দের সুরে। 
কিছু কিছু এভাবেই কালের প্রভাব এড়িয়ে আছে, 
হয়তো বা পৃথিবী সে প্রিয়পাত্র ঈশ্বরের কাছে।

Sunday, August 2, 2020

চেপে রাখা

প্রারব্ধ ছিল হয়তো পূর্ব জন্মের কোন দোষে, 
এখনো কাটবে, আগের মতই, দুঃখে অথবা রোষে। 
তোমাদের সাথে অভিনেতা আমি, সুনিপুন সেই কলা,  
আমার আমি সে রঙ্গমঞ্চে অথৈ অন্তঃস্থলা। 

শুধুই নিজের জন্য যদি বা বাঁচবার কথা ভাবি, 
সে তো বয়ে আনে মৃত্যুপুরীর সদর পথের চাবি। 
আছে এ জীবনে বহু পিছুটান, সেই হল সব বাঁধ, 
ঠোক্কর খেয়ে কাটিয়ে চলেছি, জন্মের অবসাদ।

দুঃখ দেব না তোমাদের, সব থাকুক অন্ধ খোপে, 
কী বা লাভ আর এ সময়ে এসে অযথা সে দোষারোপে। 
অভ্যাস তো সে বহুদিন হল, নতুন পথের সওয়ারী  
হবার তো কোন আকাংখ্যা নেই,  যা হবার তা তো হবারই। 

তোমরাও জানি চাও না দুঃখ ভাগ করে নিতে বিন্দু, 
এ আমার মধ্যে তাই বাস করে অশেষ বিষাদসিন্ধু। 
তার বালুচরে হেঁটে চলি আমি যখন হয়েছি একাকী, 
বালুকণাগুলো অতি পরিচিত, মুক্তোর পাব দেখা কি? 

এই আশ্বাসে ভুলতে চাই না, বুদ্ধিমত্তা করে গ্রাস, 
কিছুটাও যদি মূর্খ হতাম, ভাবতাম এসব পরিহাস। 
সেই হয়তো বা সুখের ঘরের চাবির প্রধান উপাদান, 
জীবনের এই প্রধান প্রশ্নে চাইছি না আর সমাধান।