Wednesday, April 27, 2016

উড়ান

সত্যি হেরেছি হয়তো,  
বিস্তৃত দিগন্ত পানে অকপট দৃষ্টিনিক্ষেপে  
এই কৃষ্ণ অমারাতে । 
লুকিয়ে এসেছি একা 
সবার অগোচরে শুধু অনন্ত উড়ানের আশায় 
কালবৈশাখী ঝড় যদি তার স্রোতে আমাকে ভাসায়। 

ক্রমশ আবদ্ধ হল, 
মানবজীবনে তাই প্রখর রোদের তাপে জ্বলে, 
আন্দোলন হীন। 
অক্ষয় দমন উৎপীড়ন 
নিতান্ত বাধ্য হলে সামান্য উৎকোচসম বৃষ্টির প্রয়াস 
কালবৈশাখী তবু ব্রাত্য থাকে, রুখে দিতে কোন উচ্ছ্বাস। 

তবু বারংবার যাবো, 
করুণা না, বাস্তবিক পরিবর্তন  প্রত্যাশী।  
দৃঢ়সংকল্প জানি।  
আমিও হতাম তাই  
তোমার অবস্থানস্থলে, তবু চাই আজকে স্খলন 
কুহনিকা যাই হোক অপরাধবোধে নেই মন।   


Saturday, April 23, 2016

কথোপকথন

মিত্র, আমি তোমার জন্য গাঁথিয়াছি মালা প্রণয় পরশে রঞ্জিত ডালা এবার তোমার রচিবার পালা প্রেমভৈরবী চিত্র।

মিত্র, আমি ঘন আশ্লেষে চুমিয়া অধর, হেরিয়া বেরাই ধর-অম্বর জীবন সলিলে তোমারেই শুধু হৃদয়ে মানি তরিত্র।

মিত্র, আমি দর্পণ পরে হেরি আপনারে তোমার স্পর্শ খুঁজি বারেবারে অন্বেষী আজও তোমার চিত্তে প্রবেশপথের ছিদ্র।

সজনী, আমি তোদের আবেগে খোরাক মেটাই, প্রেম আলপনা ধুয়ে মুছে যাই উদ্বেগে করি কেয়ার থোড়াই, বুঝল যদিও কজনই!

Sunday, April 10, 2016

মানবতার পাঠ

দু এক কণা তপ্ত অশ্রুজল
মানবতার এইটুকু সম্বল
সঙ্গে আছে দেদার ভালোবাসা 

বিন্দু থেকে সিন্ধু গড়ার আশা। 


মরল চাষা সঙ্গে নিয়ে শেষে 

শিখেছে যা জীবনজ্বালে ফেঁসে 
মরবে আবার, এটাই তাদের গতি 
জীবনে যার অনিশ্চিত মতি। 

উষ্ণতার আজ সর্বব্যাপী গ্রাস 

থেমে থেমে গেরিলা সন্ত্রাস 
শুকিয়ে গেল সকল জলাশয় 
মানবতার ভাগ্যে এটাই হয়। 

যুদ্ধে যখন ফল ঘোষণাই বাকি 

শিবির তবে বদলে ফেলি নাকি? 
পরে নাহয় গল্প লেখা যাবে 
 মানবতার, পাঠক যেমন খাবে।  

Wednesday, April 6, 2016

বসন্ত

আমার কথায় কি খুব বিরক্ত হও, অন্তত চোখে পড়ে না
তাই আশঙ্কার কালো মেঘ ছেয়ে ফেলে মনকোণ
যার আবছায়ায় আমার অজান্তে পুঞ্জিভূত হতে পারে বিরক্তি
তিল তিল করে জমতে থাকা অস্থিরতার পাহাড়
ক্রমেই অসহ্য হয়ে ওঠে, দৃষ্টিশক্তি বিদ্রোহ করে ওঠে সহনশীলতার বিপক্ষে
টানেল গড়তে হবে ওই পাহাড়ের মধ্যে
কিন্তু নিশ্চয়তা কী যে সে গ্রাস করে নেবে না শ্রমিককেই
আঘাত হানতে হবে হয়তো তখন বাধ্য হয়েই,
ধূলিসাৎ করবার অভিপ্রায়ে,ছিন্নভিন্ন করতে দৃষ্টিসুখের উল্লাসে।

তাই বলে আরও বেশী ভালোবেসে ফেলো না যেন,
এই প্রলয়ের মাঝে সে অনুভূতির প্রতি আর কিছুর সময় থাকবে না
অনন্যোপায় আমি, দায়িত্বে অবিচল থাকা আমার দুরারোগ্য ব্যাধি।
অবশ্য যদি উর্বর ক্ষেতে কয়েক ফোঁটা ভালোবাসা
জন্ম দিতে পারে সুবৃহৎ প্রেমবৃক্ষের তাহলে আপত্তি করবো না।
তার ছাওয়ায় অনুরাগের আচ্ছাদন, লালিত সযত্নে
তার মুকুলে অঙ্কুরিত প্রণয়প্রীতির কুঁড়ি, পল্লবিত ঋতুপর্ণ
ভালোবাসার ফুল ফল অফুরন্ত যোগান দেবে তরতাজা প্রেমের,
ভালোবাসার রেণু ছড়িয়ে পড়বে আদিগন্ত বিস্তৃত চেতনার মত
এমন বর্ণময় বসন্ত এলে কি আর আধমরাদের আপত্তি করা সাজে? 

Saturday, April 2, 2016

পক্ষাবলম্বন

রক্ত জমাট বাঁধা, রাজপথ তাতেই পিচ্ছিল
আমাদেরই কৃতকর্ম অগুনতি মৃত্যুর মিছিল
মনুষ্যত্ব মৃতপ্রায়, আর শুশ্রূষা নিরর্থক
রক্ত আমারও হাতে তা দিয়েই কেটেছি তিলক।

শূন্যতা, অবসাদ, প্রাণপণ বাঁচার আকুতি
স্বীকার করি না তবু, পাছে ব্যথা পায় অনুভূতি
চলতে হবে যে তবু, এর চেয়ে উপেক্ষাই সই
তাই দিয়ে কিছুদিন আনন্দে জীবন কাটাবোই।

হাজার রক্ত হাতে, অশ্রুজলে মুছবে সে দাগ
অন্ধকার পৃথিবীতে সহজে মিলবে না চিরাগ
বিপরীত পথে তাই হোক সে বাঁচারই সম্বল
বরং ক্ষমতা হাতে পিষে দেব সব গণ রোল।