Monday, March 28, 2016

ভাঙা বেড়া

অনেক আশা, শুরুতে ছিল বটে কিন্তু স্বাভাবিক প্রবণতা 
কয়েক শতাব্দীর সাফল্য এটুকুই, আট সংযোগ প্রকৃতির 
মেঘে পানে একবার চেয়েই বুঝে গিয়েছে সে 
পারবে না! 
শোষিত নিপীড়িত বঞ্চিতদের কাহিনী থেকে যায় না কওয়া হিসাবেই। 
তাদের চোখের জলে ফুটিয়ে খাওয়া দুই এক কণা ক্ষুদ, 
মাটির গভীর থেকে তুলে এনে খাওয়া বুনো ওল, 
ঙ্গের মেশানো কয়েক ফোঁটা লেবুর রস
মিশে যায় আবার সেই মাটির ভীতরেই সার হয়ে, 
বোধকরি তাদের অন্তঃসারশূন্য করে। 
সেই গল্পে আগ্রহ নেই আধুনিক কেতাদুরস্ত কোন বঙ্গজীবীর।
 একরাশ হাহুতাশ বাষ্পের মত উবে যায় তার চিতা থেকেই। 

বাস্তবের মাটি থেকে উঠে আশা চাপা ক্ষোভ, 
বৈচিত্র্য খোঁজার অনভ্যাস হতে পারে 
কিন্তু এখনো নির্বিরোধী সহজ সরল জীবনযাপনই অন্তিম লক্ষ্য। 
সাধারণত্ব আপনার কাছে একঘেয়ে, 
কিন্তু ওই সাধারণত্বের আশায় প্রাণপাত করে এখনো শত সহস্র লালায়িত শ্রমজীবী। 
সাধারণত্বের মরীচিকায় আছন্ন, অসাধারণত্বের খোঁজ তার পরবর্তী লক্ষ্য। 
এই পথ দিয়েই হেঁটে গিয়েছেন কিন্তু আপনি অতীতে, 
পথ একই, তবু অনুসারীর প্রতি বিমূর্ত বিস্ময় আপনার কমে না 
হতাশা ঝাড়তে চান তার ওপরেই। 
ভুল কিছু হয়তো করেন না, স্বপ্নটাকে সমূলে উপড়ে ফেলতে চান কাণ্ডটা পচবে জেনেই 
কিন্তু গর্ভাশয়ের ক্ষমতা নেই শিশুকে গিলে খাওয়ার আর। 
ঝরা পাতা, শামুকের খোল, শালিকের বিষ্ঠা, সব কিছু বাধা সরিয়েছেন আপনি
 অনিন্দ্যসুন্দর চিতা সাজানো, কোন ঘাটের মরার না লোভ হয় তাতে চড়তে। 

Thursday, March 24, 2016

দোল

ফিরল আবার নিয়ম করেই বসন্ত আর রঙ-মিলন্তি
নিয়ম বাঁধা, তারই ফাঁকে কয়েক পশলা পাগলপন্তি।
অনভ্যাসের খেলার মাঝে ভিজল কিছু নতুন হৃদয়
দায়সারা হোক সময় স্রোতে, পুরনো যে ব্রাত্য তা নয়।।

পলাশ শাখা নুইয়ে আসে, খুঁজতে কিছু প্রেমের স্পর্শ
অল্প ক'দিন, এইটুকুনি সময় না হয় থাক সহর্ষ ।
ছড়িয়ে পড়ুক সুরের ছটা, দুন্দুভি আর ঢাকের বোলে
লজ্জাটুকু সরিয়ে সকল শ্যামের সাথে রাইও দোলে।

কিন্তু ফিকে নিয়ম মেনেই, এ বিদ্রোহে নাই কো সন্ধি
বসন্ত যে কালের কাছে এই জীবনের তরেই বন্দী।
তাই তো কারাগারেই যা হোক সাজিয়ে নেওয়া রঙ্গমঞ্চ
কর্তৃপক্ষ নারাজ তাতেও? তাহলে আজ  থাক বরঞ্চ।  

Sunday, March 13, 2016

নির্গমন

কলমের উত্তর করে যারা রক্তের স্রোতে
সেই দলে সত্যি বলি আপাতত 'তোমাকেই চাই'
একদা প্রথম সারি, ক্রমশ গিয়েছি শেষ রো'তে
টুক করে সরে পড়ি তা থেকেও, নিঃশব্দে সবাই,

যেমন খেলেছ তুমি, নিঃসাড়ে, দেওয়াল প্রমাণ
আবেগের সুড়সুড়ি, জনগণ স্মৃতিভ্রষ্ট তাই!
তবু যেন তুমি নয়, আফসোস, বড় ম্রিয়মাণ
অবশেষে সোজা ব্যাটে,  মান্যতা পেয়েছে জবাই।

পাক তাতে ক্ষতি নেই, সে পাওয়ার মূল্য অকিঞ্চিৎ
কেবল পক্ষ চেনা, তাও জানা তোমারই দয়ায়
বহুদিন আগে থেকে, তাও যার বিস্মৃত অতীত
তারও আজ তোমা নিয়ে সামান্যই ভাবনা আসে যায়।



    

Friday, March 11, 2016

হত্যার আহ্বান

আপনি যদি কখনো আমার কল্লা ফেলতে আসেন
আমি নতমস্তক হয়ে যাব, 
পূর্ণিমার রাত দেখে আসবেন 
যেইদিন আকাশের তারা দেখা যাবে। 
মেঘের চিহ্নমাত্র থাকবে না। 
শেষযাত্রায় তারাদের মূর্ছনা প্রত্যক্ষ করতে পারব না এমন দুর্ভাগ্য যেন না হয়।

বাদ এষা আসবেন, 
আপনার মন যখন থাকবে তুরীয় মেজাজে। 
কিন্তু শক্তহাতে ধরবেন চাপাতিখানা।
ফিনকি দিয়ে রক্ত ছুটুক, 
শুদ্ধ হয়ে যাক ধরণীসেই রক্তের স্রোতে উর্বর হোক বিরুদ্ধতার মাটি। 
সেই ক্ষেতে চারা রোপণের কৃতিত্ব আপনাকেও যে দিয়ে যেতে চাই কিছুটা অন্তত।

শান দিয়ে আসবেন অস্ত্রখানা,
মৃত্যু যন্ত্রণা চাই না বেশিক্ষণ। 
জানি কয়েক পলক সহ্য করতেই হবে
কিন্তু আত্মনিয়ন্ত্রণ হারাবেন না, 
মাদকতায় ভেসে যাবেন না অন্তত একদিন।
যদি সেই ভয়াল মুহূর্তে পাল্টা প্রত্যাঘাত করে ফেলি তাহলে যে মরেও শান্তি পাবো না।
শুধু একটাই অনুরধ, শেষ ইচ্ছা হিসাবে তার আগে আপনাকে একটা চুমু খাবো।

Saturday, March 5, 2016

খেলা

খেলা হবে মাঠজুড়ে রেষারেষি শকুনে শকুনে,  
গাণ্ডিব ছিলাটান, সাথে হাত অক্ষয় তুনে;  
যদিও নতুন নয়, দুইদলই প্রতিপক্ষ চেনে,  
লড়াই ও হয়তো বা সংগুপ্ত চিত্রনাট্য মেনে। 

কর্তার ইচ্ছায় কাজ, কখনো বা কর্মবিরতি,  
অনুগত শ্রমিকের জন্য কিছু খুচরো প্রতিশ্রুতি।  
সুদৃঢ় রাশ আজও চালকের কঠিন করায়,  
অন্যথা হলে যদি বিদ্রোহের আঁচ দেখা যায়!  

তবুও আফিমখেকো জনগণ সেই নিরুপায়,  
প্রতিবাদ করবার পায়নি সে আজও অভিপ্রায়।  
বিশৃঙ্খল, সবিরাম জোনাকির ইতিউতি আলো, 
তাই দিয়ে কে বা বার, বিপ্লবের আগুন জ্বালালো?