কোনো একদিন কথা দিয়েছিল
সে কথার কথা গোপন রেখেছে place where i would post some poems off and on... may be other stuffs as well, according to my mood and abilities
Thursday, December 19, 2013
দৈবপ্রেম
Wednesday, December 18, 2013
সত্যের প্রবেশ
যেই সত্যের প্রবেশে সহসা আকুলিত হয় প্রাণ
উন্মাদনার স্রোতের আঘাতে সুরলোকে বাজে তান অমৃতের বাণী সাথে লয়ে আজ আগত আলোকশিখা
Tuesday, December 17, 2013
অপলাপ
সময় যখন দিচ্ছে ধোঁকা
করিস কেন দুঃখ
রঙ্গমঞ্চে ব্যবসাপাতির
হিসেব বেজায় সূক্ষ্ম
ভবিষ্যতের আকাশকুসুম
চোখের পরে নাচলে
বাজিকরের খেলার ছলে
ভুলবনা তাও যাচলে
দাগ কাটারই স্বপ্ন দেখে
করছি শুরু যাত্রা
দুএকটিবার সফল হয়ে
হারিয়ে ফেলি মাত্রা
Thursday, December 12, 2013
হাঁটাহাঁটি
দিব্যি তো বেশ এগোচ্ছিলাম গড়গড়িয়ে
হঠাৎ করে স্তব্ধ হলো চাকা
এখন মাথায় হাত রেখে আর কি করি হে
এমন করে স্তব্ধ হয়ে থাকা ।
আবার ফিরে করব শুরু গোড়ার থেকে
পথ গিয়েছে অন্য কোনো খাতে
আবার কেঁচে গন্ডুষেরই সময়, দেখে
রওনা দিলাম কঠিন এ রাস্তাতে
প্রথম দিকে যতই কর নখরা বাজি
একটু পরে একই পথে হাঁটি
ডাবের খোলা ভাঙলে যখন কাজের কাজী
শাঁসের বেলা করবে নাকো মাটি
Tuesday, December 10, 2013
ন্যাকার ভালবাসা
খুব একটা ন্যাকা নই আমি
জানি তোমরা একমত হবেনা
তবু যদি বিশ্লেষণ করো
দেখবে আমি ভুল বলছিনা ।
জানি একটু বেশি মজা করি
অস্বীকার করছিনা তা মোটে
ভালবাসা সুবিচার বল
ভালোবাসলে দুঃখটাই জোটে
বন্ধুতার মধ্যপন্থা নিয়ে
গুটিগুটি পায়ে চলি হেঁটে
ভালবাসা ভেবেচিন্তে দেখো
সখ্যতার প্রতিশব্দ বটে ।
Wednesday, December 4, 2013
বিরহ
আবার তো সেই ব্যর্থ হলাম প্রতিজ্ঞাটা মিথ্যা
দিব্যি দুদিন চলছিল বেশ সঙ্গে স্বয়ংসিদ্ধা
ভেবেছিলাম এই ভাবেতেই কাটতে রবে দিনটা
নিজের ভুলেই জীবনতরী বাঁক নিয়েছে অদ্য
তারই খেসারতের তরে লিখতে বসি পদ্য
ভুলের ভাঁড়ার তরতরিয়ে ভরেই চলে সদ্য
হয়ত আমার ভুলের স্রোতে থাকবেনাকো অন্ত
চোখের লাজে টানবো ইতি, আবার প্রানবন্ত
হবই জানি, কিই বা করি পাপী আমার মন তো
বিরহ আজ সইতে হবে নিজের ভুলে হায়রে
সকাল থেকে চলতে থাকি মনের কোনের বাইরে
দিন রজনীর সীমার শেষে প্রানের মাঝে আয় রে ।
Monday, November 25, 2013
চিত্তচাঞ্চল্য
কোন একদিন মনের মধ্যে শান্তি বিরাজ করত
সেই দিনটায় ফিরে যেতে চাই একথা বলতে চাইনা
সেদিনের কিছু বিশেষ প্রকৃতি আজও তো থাকলে চলত
যারে নাহি চাই সহজে হারাই যারে চাই তা হারাইনা ।
চিত্ত আজিকে ক্ষনিকে উদাস ক্ষনিকে আবার উদ্দাম
হরষে বিষাদে ঘুরে ঘুরে ফিরি সাথে লয়ে আকুলতা
ধ্যানেতে মগ্ন ঋষি হয়ে নাহি আর সেই কালে রইলাম
পান্থ আজিকে প্রশ্ন ছুঁড়েছি কেন এ চঞ্চলতা ।
Saturday, November 23, 2013
জীবনগতি
দৈনন্দিন ছন্দ ছেড়ে
বাতাস কোথায় স্তব্ধ
কথার পিঠে খেই হারিয়ে
নিঝুম হলো শব্দ ।
প্রাত্যহিকি জীবনগতি
আটকে ছিল খাপে
থামল তারও প্রবাহতান
অস্থিরতার চাপে ।
তাপোত্তাপের ধার ধারিনা
দিব্যি আছি আমি
জীবনতরী বাইতে গিয়ে
মাঝনদীতে থামি ।
জিরিয়ে নিয়ে চোখ ধাঁধিয়ে
চতুর্দিকে ফিরি
এখনো সেই অনেক দুরে
জীবনপুরের ভীড়'ই ।
সূর্যের ক্ষেদ
সন্ধ্যাবেলায় রঙের খেলায়
যখন মেশে অন্ধকার
চাঁদের বুড়ি সূর্যিমামায়
থোড়াই দেবে বিশেষ ছাড় ।
নিবিড়্ অমা সঙ্গী করে
দস্যি বুড়ি মত্ত আজ
তড়িৎ বেগে নৃত্যকলা
অঙ্গেতে উন্মত্ত সাজ
বজ্রমানিক নিরুদ্দিষ্ট
স্বস্তি পেলে সমান্যই
রণক্ষেত্রে ছুঁড়বে গোলা
"আমরা তো আর কামান নই
অহং বোধে অন্ধ ছিলাম
দিইনি মাটি সুচাগ্র
এখন বুঝি আপন ত্রুটি
শুষ্ক আঁখি নীরার্দ্র "।
Thursday, November 21, 2013
চিঠি
না জানি কখন চিঠি পাব তোর
শুনব মনের কথা স্মৃতির রঙেতে রাঙাইয়া দিবি
খেলবি পুরনো খেলা
ছেলেবেলাকার সে তুলির টানে
আমিও ভাসাবো ভেলা।
একটা কবিতা থাকে যেন তোর ,
সেই কলমেই লেখা--
পড়ে মনে হবে ঠিক যেন সেই
সোনালী দিনের রেখা।
জীবন
আমার চিঠির অপেক্ষাতে থাকিসনাকো বসে
আমি তো এক সামান্যজন, বিস্মৃতিরই দোষে
ভুলব আমার প্রতিজ্ঞাকে দুষ্মন্তের মত
শকুন্তলা হইবি কোনো দুর্বাশারই রোষে ।
ইজেলে কোন তুলির টানটা হয়েই যাবে ফিকে
স্মৃতির ধুসর রঙ বানাবে ধুসর পৃথিবীকে
জীবনে তো কতই কিছু নবীন তরী বেয়ে
প্রবীন হয়ে মিলিয়ে গেছে কালের অপরদিকে ।
ইচ্ছা করি স্বর্ণনদে ভাসতে রবে ভেলা
সদাই রঙিন থাকবে মোদের পুরনো এই খেলা
এসব ভীতির প্রসঙ্গটা থেকেই যাবে ফাঁকি
চিরন্তনী আলোর কাছে হারবে সন্ধ্যাবেলা ।
সাম্য
দলিত জনের প্রানের কান্না
বুঝবার তরে ভাবি
নিপীড়িত জন ভুলে কি কখনো
প্রকাশিবে তার দাবি ।
একই রক্ত বইছে সবার
ধমনী গহন গভীরে
দমিয়ে তাদের উন্নতি করে
পাষাণ হৃদয় লোভি রে ।
মনুষ্যত্ব হারায়ে মানুষ
কিসের পিছনে ধায়
পরিচয় যদি নাই থাকে তাতে
কি বা কার এসে যায় ।
Wednesday, November 20, 2013
চাহিদা
কখনো তো মুখ ফুটে কিছু চাইনি
কাঙ্খিত কোন কিছু তাই পাইনি
ইচ্ছেগুলোকে শুধু ইশারায় বেঁধে
বলেছি কখনো কভু দেখিনাই সেধে ।
মনে পরে সেই কোন শৈশবকালে
রেলগাড়ি চলছিল ঝিকি মিকি তালে
তারই মাঝে উঠেছিল ফেরিওয়ালা এক
ন্যাপথালিনের বল ভরা ভরা প্যাক ।
হাত পেতে চাইলাম বাতাসার আশে
সেই মোর চলা শুরু নিরাশ আকাশে
ছোট ছোট ঘটনার রেখা ফেলে মনে
অতিক্রম কিম্বা জয় করব কেমনে ।
হারাব হয়ত কত অমূল্য রতন
মানিক্য সমান সপ্ত নৃপতির ধন
হয়ত বা অহংকার হয়তো বা ভয়
তবু ভাবি না চেয়েও পাওয়া ঠিক যায় ।
Tuesday, November 19, 2013
গতিপ্রকৃতি
জীবনের গতিপ্রকৃতির সাথে
একাত্ম হতে ব্যর্থ
ratrace-টার সমাপ্তি টানি
ভুলেছি নিজের স্বার্থ ।
বুঝতে পারিনা আমেজটাই তো
উপভোগ করে যেতে চাই
হয়ত অলস প্রকৃতির কাছে
নুইয়েছি মোর মাথাটাই ।
রক্তকরবী শেষের কবিতা
তাসের দেশ বা অন্য
গানের কলির আহবানে আমি
চিরকাল রব ধন্য ।
তবুও কেন যে মনে ভয় জাগে
এটাকি নেহাত অজুহাত
আসলে হয়ত আপনার কাছে
করেই চলেছি অপরাধ ।
Monday, November 18, 2013
আমার ধর্ম
মনের ভাবকে ব্যক্ত করা
নয়কো সহজ কর্ম
সদাই তাহার চেষ্টা করি নয়কো সহজ কর্ম
"ধর্ম যখন চিনতে পারলে
নেইকো তোমার ভয়
এগিয়ে যখন যাচ্ছ তুমি
হবেই তোমার জয় "
জয় পরাজয় লেগেই থাকে
প্রচেষ্টা টাই সত্যম Saturday, November 16, 2013
দিনকাল
হঠাৎ করে ইচ্ছে হলো অনেক গল্প করি
কথার পিঠে শব্দ জুড়ে স্মৃতির মাঠে চরি
ভাবনা গুলো একের পর এক লাইন দিয়ে খাঁড়া
অপার স্রোতে ভাসতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠে মরি ।
বুঝতে পারি নুইয়ে গেছি বার্ধক্যের ভারে
তারুণ্যেরই স্বাদের সাধে ছুটছি বারে বারে
ঠিকানা তার সবার জানা কিন্তু না পাই দিশা
রাস্তাটা যে হারিয়ে গেছে যৌবনেরই পারে ।
Friday, November 8, 2013
হারিয়ে যাওয়া পদ্য
হারিয়ে যাওয়া পদ্য খানা
দুঃখ জাগায় মনে Saturday, November 2, 2013
প্রাপ্তি
আহ্লাদ করে নিজেই বুঝিনা কতটা জায়গা দিলাম
সিদ্ধান্তের ভরসা করেকি অলিক সুখেতে ছিলাম
বিবেচনা বোধ তৈরী হলো কি ভেবেই না পাই দিশা
আলোকের খোঁজে শশব্যস্ত অবিরাম ঘোর নিশা
আনন্দঘন জীবনের খোঁজে ঘুরে ফিরি নিশিদিবা
দুঃখ মদির জীবনের খোঁজ পেয়েছিলাম যদিবা
চাইনি, তবুও হঠাৎ প্রাপ্তি আজকের বড় দায়
বুঝলাম আজ না চাহিলে তারে হয়ত বা পাওয়া যায়
দীপাবলী
ঝরা পাতার সঙ্গে কথা বলার সময় হাজির
কোন সুদূরে দেশান্তরে যজ্ঞ আতশবাজির
আগমনীর সুরের পরে শ্যামা মায়ের স্তুতি
এই দেশেতে কোথায় পাব সেসব অনুভূতি
সোঁদা মাটির গন্ধ তবু ঝলক জাগে মনে
আপন মনে বেড়ায় ফিরে রক্তজবার বনে
বিষাদে নই ভারাক্রান্ত নেই তো কোনো জ্বালা
সত্যি ভাবি এখন বোধয় ফুল ছড়ানোর পালা
Tuesday, October 29, 2013
দুঃখবিলাস
সুখে থাকব বলে এই নিরালায় বসি
সুখের সংজ্ঞা খানা রইলো অজ্ঞাত
সংজ্ঞা মেনে সুখী হব এমন প্রত্যাশী
ছিলাম কি কোনদিন আমি অবিরত ।
ভালো লাগে সত্যি হতে, ভালোবাসি তাই
তোমার মনের কথা আগে বলে দিতে।
সেই সুখ অনুভূতি খুবই কম পাই
যখন সে কওয়া কথা দাঁড়ায় সত্যেতে ।
ভালবাসা, সুখ আরো কত মধু কথা
আরো কত হাসাহাসি আরো কত গান
তাও তো ভুলি না দেখি কান্না দুখ ব্যথা
বেদনায় ভরে তবু আকুলিত প্রাণ ।
Tuesday, October 15, 2013
দুর্গা পূজা
দুর্গা মায়ের ডাকটা আবার
আসলো ফিরে কানে
আবার আর এক বছর গেল
এখন তো আর আগের মত
মনখানা তো উড়ছে না আর
দুর্গাপূজার টানে ।
তিন বছরের বিচ্ছেদেতে
ধুসর হলো স্মৃতি ।
মহালয়ার স্তোত্রপাঠে
শারদপ্রাতের আব্ছায়াতে
আগমনীর সাথেই ফেরার
দুর্গাপূজার তিথি ।
বিজয়ারই মলিন রূপের
পাইনা কোনো ছোঁয়া
পাইনা কোনো মিঠাই মন্ডা
সিঁদুরখেলার বাক বিতন্ডা
ধুনার গন্ধ নেই, সাথে নেই
ধুনুচিরই ধোঁয়া ।
আবার কয়েক বছর পরে
ফিরব আমি যেদিন।
দুর্গাঠাকুর আমায় তবে
টানবে কি আর বুকের পরে
ঢাকের বোলে পড়বে কি আর
সেসব তাকধিনাধিন।
Sunday, October 6, 2013
এক সন্ন্যাসী কে লেখা আমার কবিতা
হয়তো তোমার ইংরাজি শুনে হেসেছিল সব সুধীজন,
তবুও তো তুমি হাসি খেলা ভরে শোনালে তোমার প্রাণমন |
কজনে বুঝল কে জানে তবুও যায় আসে আজ কি তাতে ।
কি কথা বলব ভেবে নাহি পেয়ে জিজ্ঞাসি " তুমি বাঙালি ?"
বোকার মতন প্রশ্ন ছুঁড়েও নেই মোর মনে কোনো লাজ ।
Monday, September 30, 2013
দ্বন্দ্ব
সুচিন্তিত প্রশ্ন করি,
আয়নাটাকে সামনে ধরি,
তোমায় আমি চিনতে শেখাই আপনাকে ।
নিজের বেলা অষ্টরম্ভা ।
নিজেই আমি কি রকম বা
সেই কথাটা বুঝতে ভীষণ সাধ জাগে ।
আয়নাটাকে ঘুরিয়ে রাখি ,
আপনাকে আজ দিচ্ছি ফাঁকি ।
নিজের সাথেই ছায়াবাজির আনন্দ
পাচ্ছি কিন্তু চাইছি কি আর,
প্রশ্ন শুনি আপন হিয়ার
বুঝছি কিন্তু এড়িয়ে যাচ্ছি সে দ্বন্দ্ব ।
প্রশ্নটা আজ হয়তো মনের ।
আত্মপক্ষ সমর্থনের
সাধ জাগেনা তাই তো খুলে লিখছি আজ ।
নিজের ত্রুটি নিজের দোষকে
যতই জানাই দেদার লোক কে
ঘুচবে কি আর আপন মনের দ্বন্দ্ব, লাজ ?
Tuesday, September 24, 2013
বাবা
এখনো মনে ইচ্ছে জাগে বাপগাছেতে চড়ি,
পূজার বেলা খেলনা হাতে কোলেই বসে পড়ি ।
হয়তো আমি বড্ড বড় হয়েছি তবু আজও
ইচ্ছেগুলো দাবিয়ে দিতে থোড়াই কেয়ার করি ।
বাবুম বলে ডাকবো নাকো হয়তো কোনো কালে,
হয়তো নকল করব না আর কথায় চলন চালে,
হয়তো কভু পড়ব নাকো একই ছিটের জামা,
হয়তো কাব্য লিখব না আর একই ছন্দে তালে ।
গায়ত্রীরই মন্ত্র আজও মনের কোনে বাজে,
চিরটি দিন থাকবে তুমি আচার্যেরই সাজে,
রক্তে যে ধন রয়েই ছিল এই জনমের মতো
তাকেই দৃঢ় করলে রাশিবিজ্ঞানেরই কাজে ।
Saturday, September 21, 2013
বর্ণহীন
নীল রঙ প্রিয় বা অপ্রিয়,
সে প্রশ্ন আজ অবান্তর,
হয়ত সে আমাদের কাছে
নিতান্তই অকিঞ্চিৎকর।
সে রঙের খবর রাখিনা
কখন সে হয়ে গেল ফিকে
বা আদৌ হলো কি হলো না,
প্রশ্ন করি আমার আমিকে ।
চেয়েছে সে বিশেষ নজর
বলেনি তা, ভেবে দৃষ্টিকটু
ভালবাসা চাইতে সে আজও
রয়ে গেল একান্ত অপটু ।
Friday, June 21, 2013
সিসের টুকরো
পাঠাগারে বসে পড়তে পড়তে হঠাত থমকে দেখি
পায়ের তলায় পরে আছে এক সিসের টুকরো একি !
হয়তো বা কোনো নবীন কিশোর উন্মাদনার ঘোরে
মনের ভুলেতে ফেলেছিল তাকে কার্পেট মোরা ফ্লোরে ।
হয়তো বা কোনো তরুণ যুবক উত্তেজনার বশে
বিরক্ত হয়ে ফেলেছিল তাকে বৃথা ভেবে খসখসে
অথবা এ কাজ করে গেছে কোনো আলোকিত এক বৃদ্ধ
সিসের টুকরো ছাড়াই যাদের জ্ঞানাকর সমৃদ্ধ ।
কুড়িয়ে নিলাম সেই টুকরোটা বিশেষ যত্ন ভরে
মাটি খুঁড়ে তাকে পুঁতে দিয়ে যাব এই ধরণীর পরে ।
হয়তো কয়েক শতকের পরে কোনো পুরাতাত্বিক
খুঁজে পেয়ে তাকে দেবে নিজ গুণে ভালবাসা প্রাণাধিক ।
Thursday, June 6, 2013
শূন্যতা
শূন্য কি আসলেতে ফাঁকা ?
যখনই কাগজে কালি
আঁকি বুঁকি করে ঢালি
শূন্যতায় কাগজটি পড়ে যায় আদপেতে ঢাকা ।
বিচার করার কে বা আমি
কাগজ কি সীমাহীন
ভেবে যাই প্রতিদিন
ভাবনার সারমর্ম হয়ত বা পত্রপরে দামী
কাগজের দামটা কি বাড়ে ?
যখন ভাবনা গুলো
কাগজেতে জমা হলো
ভাবনার শক্তি কি কাগজের সাথে লড়তে পারে?
যখনই কাগজে কালি
আঁকি বুঁকি করে ঢালি
শূন্যতায় কাগজটি পড়ে যায় আদপেতে ঢাকা ।
বিচার করার কে বা আমি
কাগজ কি সীমাহীন
ভেবে যাই প্রতিদিন
ভাবনার সারমর্ম হয়ত বা পত্রপরে দামী
কাগজের দামটা কি বাড়ে ?
যখন ভাবনা গুলো
কাগজেতে জমা হলো
ভাবনার শক্তি কি কাগজের সাথে লড়তে পারে?
Saturday, May 11, 2013
যুগ যুগের গোপাল
কোন খানেতে যাবে
করছে কত দাবি
তিন মাসেতেই শিখিয়ে দেবে প্রযুক্তির নবাবি
জজ্মানিতেও দড়
কষ্ট করে কেষ্ট পেয়ে গীতায় সড়গড়
চণ্ডীপাঠেও চোস্ত
ভাতের পাতে রোজই সে পায় টাটকা আলুপোস্ত
মিলছে নাকো ননী
চুরি করার পক্ষে সে আজ অনেক বেশি ধনী
হয় কি তাহার দুঃখ ?
এই ধরনের অনুভূতির প্রভেদ আজও সূক্ষ্ম ।
Monday, May 6, 2013
আস্তানা : কারোলান
দিনমণি অস্তাচলে
কারোলানে চল যাই
বাঁয়ে ঘুরে পেয়ে যাই
চিঠিদের সন্ধান
নামহীন পত্র পেয়ে
হই নাকো সন্দিহান
কতশত ব্যাঙ্ক'এর
Sunday, May 5, 2013
আন্তর্জালিক পদ্য
যখনই আমার অভীপ্সা জাগে internet'এ বসার
আমার আসল আমিটাই যেন হয়ে ওঠে ফের অসার
কোন সুদূরের অজানা সত্ত্বা
গ্রাস করে আজ করেছে হত্যা
সেই কি কারণ আজকে আমার অন্ধকারের দশার ?
কেন যে শুধুই হারিয়ে গিয়েছে কোন স্বপনের জন্য
নিজের আবেগ আকাঙ্ক্ষা সব হয়েছে আজ নগন্য
সময় পেলেই মেইল ফেইসবুক
মস্তিষ্কের তীব্র অসুখ
জ্ঞানপাপী তবু মনিটরে ফের বসেই আজিকে ধন্য ।
দুই সত্ত্বার যুদ্ধেতে আমি লোহিত কনিকা সিক্ত
জ্ঞানের ক্ষুধা বা চিন্তার স্রোত সকলি হারিয়ে রিক্ত
সমাজ আজকে চায়না আমায়
আমিও তো তাকে দিইনা সময়
নিছকই কামনা কৌতুহলের তাও তো হয়না তৃপ্ত ।
Tuesday, April 23, 2013
বিস্তৃতি
স্থির এক বিন্দু থেকে ছড়িয়ে গিয়ে সহস্রের সন্ধানে
কি চায় হায় সে কথা জলের ফোঁটা টা হয়তো জানে
আমিও তো তারই মত
ছড়িয়ে গিয়েছি কত
সহস্র যোজন দূর আমার সাধের মাটি হতে
কি যে চাই সেই কথা জানা কভু হলনা তো মোটে
বিস্তৃতির পরিধি তে মেপে দেখি বড় হয়েছি আমি
জ্ঞানের ভান্ডার টাকে মাপতে গিয়ে লজ্জা পেয়ে থামি
বিস্মিত হয়েই চলি
কত কথা কত বুলি
উর্বশী to অনার্কলি আজ দেয় চমকিয়ে সবাই
জানার কোনো শেষ নাই চেষ্টা তাই হয়ে গেল বৃথাই
Tuesday, April 16, 2013
একঘেয়ে
সে আবার এসেছে ফিরে সেই ঋতুচক্র করে শুরু
কতকি বদলেছে ভেবে করে মোর বক্ষ দুরুদুরু
নববর্ষ এলো তবু নতুনের ছোঁয়া নেই আজ
নেই কোনো নরনারী পরে নব রকমারি সাজ
এক ঘেয়ে পানসে দিন সেই বুঝি আজকের জীবন
ট্রাজেডি বা কমেডি বা নিতান্তই মধুর মিলন
কোনো কিছু নেই, এই কথা যদি উঠি আজ বলে
নতুন কথা তো কিছু বলছিনা । সব কিছু ভুলে
পুরনো সে কথাকেই আজ যদি ফের বলে উঠি
একঘেয়ে ভাবনাকে তা কি কভু দিতে পারে ছুটি ?
পৃথিবীটা পিরিয়ডিক হয়ে গেছে বা হয়ত ছিলই
সাইকেল লেংথটাকে টেনে হিঁচড়ে বড় করবই ।
Subscribe to:
Posts (Atom)