আজ আবার একটা কবিতা পড়লাম ফেসবুকের দেওয়ালে,
জঘন্য লাগল,
তবু অনুপ্রাণিত হয়ে গেলাম এক সমালোচকের কথা শুনে।
লিখছি আবার, যদিও কবিতা লেখার অক্ষমতা সম্পর্কে নিঃসংশয় হই প্রতিনিয়ত।
প্রচলিত গতিতে কোন ব্যতয় ঘটাতে পারবে না আমার অপুষ্ট কলি,
বাঁচার তাগিদে লিখে গিয়ে বরং তাদের প্রাণসংশয় হয়ে ওঠে আরো ত্বরান্বিত।
কিন্তু ওই সমালোচনা, আছড়ে পড়ুক আমার ওপরে,
ওই আমার বিশল্যকরণী, আরো কয়েক দাগ পড়লে যদি ফিরে আসতে পারি বাস্তবের পথে,
লিখে যেতে হবে তাই অমৃতের আশায়।
চারা গেঁথে বসে থাকি, সময় এখন অফুরন্ত আমার হাতে
অবাস্তবের জীবনে বিচরণের একমাত্র আনন্দদায়ক পার্শপ্রতিক্রিয়া
বহুল প্রচলিত অন্তঃমিলসূচক শব্দটিও মাঝেমাঝে হার মানবে সে আনন্দের কাছে
তবু ছেড়ে যেতে চাই।
বাস্তবের খোঁজে নয়, বরং বাঁচার আশায়।
বা স্থিতিশীলতার থেকে দোদুল্যমান হওয়ার শখে,
নাহলে একঘেয়ে জীবনে ঘেমেনেয়ে একশা। ঘৃণা করতে শুরু করবো নিজের ঘামের গন্ধকে।
সুগন্ধী অগরু কেনার সামর্থ্য গড়ে তোলা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে সে পরীক্ষা শুরু করার আগে।
তোমাদের মত করে লেখার লোভ হয় নিঃসন্দেহে,
কিন্তু কেমন মিইয়ে যাবে বুঝতে পারি, আঁচ নেই আমার, তোমাদের মতই।
তাও ঘুরে ফিরে দেখি, তলায় কোন অংশে যদি সেই আগুনের প্রদীপ্ত শিখার খোঁজ মেলে।
হতাশ হইনি আজ, তাই এতো উত্তেজনা।
আশ্চর্য হই, সে বয়স নেই আমার, তবু নিজেকে ফাঁকি দিই
নিজের কাছেই নিজের নির্লজ্জতার সীমা না রেখে।
No comments:
Post a Comment